এবার প্রকাশ্য রাস্তাতেই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল ৩ দুষ্কৃতী
১৯ জুলাই : অধ্যাপকের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে কিছুদিন আগেই গায়ে দিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সি ওড়িশার এক কলেজ ছাত্রী। হাসপাতালে তিনদিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এই মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিরোনামে ওডিশা। এবার পুরীতে প্রকাশ্য রাস্তাতেই ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল ৩ দুষ্কৃতী। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুবনেশ্বরের এইমসে ভর্তি ওই কিশোরী।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরীর বায়াবার গ্রামে। এদিন সকালে ওই কিশোরী তার বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিল। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী এসে তার পথ আটকে দেয়। এরপর ওই কিশোরী গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর আগুন ধরানোর পরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এরপর তাঁরাই আগুন নিভিয়ে ওই কিশোরীকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে, খবর পেয়েই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই ভয়াবহ ঘটনার পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, পরপর এই ধরনের ঘটনার জেরে ওড়িশার ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটেই চলেছে। যা প্রশাসনের গভীর পদ্ধতিগত ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের অধীনে অপরাধীরা আরও সাহসী হয়ে উঠেছে। এমনকি শাস্তি পাওয়ার ব্যাপারে চিন্তিত নয় তারা।’ ওড়িশা নারীদের জন্য নিরাপদ নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এই জন্য তিনি সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসও এই ঘটনার পর ওডিশার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তাদের ‘বেটি বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।