এবার মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিৎসকের হাতে প্রহৃত ড্রাগ ইন্সপেক্টর

বরাক তরঙ্গ, ১২ সেপ্টেম্বর : ড্রাগ ইন্সপেক্টর শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের হাতে প্রহৃত হলেন। তিনি ছিলেন রোগীর অ্যাটেনডেন্ট। বনরাই রংমাই নামে ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে সোমবার রাতে মেডিক্যালের মেডিসিন ওয়ার্ডে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয়ে বেশ উত্তেজনার। প্রহৃত হয়ে বনরাই রংমাই বর্তমানে মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, বনরাই রংমাইর এক আত্মীয়া মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। এদিন রাতে তিনি ওই আত্মীয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটে যায় ঘটনাটা। বনরাইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম দেখে তিনি এর কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন কর্তব্যরত এক “ইন্টার্ন” চিকিৎসক দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এরপর সঙ্গী সাথীদের ডেকে এনে তাকে মারধর করেন।
ঘটনার কথা খবর পেয়ে শিলচর মেহেরপুর নাগপুঞ্জি থেকে বনরাইয়ের পরিচিতরা মেডিক্যালে ছুটে যান। এতে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার। তীব্র উত্তেজনা কর পরিস্থিতির মাঝে খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিশও। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। মার খেয়ে বনরাইয়ের নাক ফেটে যায় বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে মেডিকেলের জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: সালমান চৌধুরীকে  ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি মারপিটের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন বনরাই রংমাই-ই। তাঁর কথায়, ইন্টার্ন চিকিৎসক বনরাইয়ের আত্মীয়ার পরীক্ষার জন্য শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করছিলেন। বনরাই এনিয়ে নানা উল্টোপাল্টা প্রশ্ন শুরু করেন। এতে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে চুপ থাকতে বললে তিনি ক্ষেপে উঠেন, এবং নিজের পদের কথা বলে হম্বিতম্বি শুরু করে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। একসময় তিনি ওই ইন্টার্নকে চড়ও কষিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন ডাঃ সালমান। এই ঘটনার খবর পেয়ে অন্যান্যরা জুনিয়র ডাক্তাররা সেখানে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তেজক হয়ে ওঠে। সেসময় মারপিটের মাঝে আহত হন বনরাই। ডাঃ চৌধুরী আরও জানান ঘটনার পর অন্যান্য চিকিৎসকরা বন রাইয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিরীক্ষণের জন্য তাকে ভর্তি করান মেডিক্যালে।

Author

Spread the News