বন বিভাগের বনানীকরণে ধ্বংসলিলা দুষ্কৃতির, সারজুলে চাঞ্চল্য
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুন : পাথারকান্দির সারজুলে বন বিভাগের বনানীকরণে ধ্বংসলিলা চালালো দুষ্কৃতিরা। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় পাথারকান্দির সারজুলে। শেষে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশ তদন্তে নামলেও এ সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত ধরপাকড়ের কোন খবর পাওয়া যায়নি। পাথারকান্দি ফরেস্টের ডেপুটি রেঞ্জার রূপক রায় জানান, কেম্পা এয়ার প্লান্টেশনের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সরকারি তহবিলে স্থানীয় বন বিভাগের চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট এলাকার সারজুল বস্তিতে পঞ্চাশ হেক্টর বন ভূমিতে গত দু’মাস ধরে নয়া বনানীকরণের কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় তিলভূম এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিরা আচমকা সরকারি বাগানে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু চারা গাছ নষ্ট করার পাশাপাশি বাগানের বাউন্ডারির পিলার উপড়ে ফেলে। এমনকি বাগানের বেশ কিছু কাঁটাতারের বেড়াও ছিনতায় করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষাধিক টাকার সরকারি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘটনার পর বন বিভাগের কর্মীরা তদন্তে নেমে জড়িত বেশ কয়জনকে চিহ্নিত করে বাজারিছড়া পুলিশে এজাহার দাখিল করা হয়। এদিকে, বাগানটি চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিটের আওতায় থাকলেও স্থানীয় বিটকর্তা সঞ্জয় আহির এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বাগানটির কিছু জমি নাকি শ্মশানঘাটের তাই এতে হামলা করেছেন একাংশ জনগণ এমন জানা যায়। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি রেঞ্জার রায়বাবু। তাঁর কথায় জমি নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা ডিমারকেশনের মাধ্যমে সমাধান করা যেত। স্থানীয় একটি বিশ্বস্থ সূত্রের কথায় বন বিভাগের বনানীকরণে দুষ্কৃতি হামলা জনিতকাণ্ডের নেপথ্যে বন বিভাগের এক কর্তার পরোক্ষ মদত থাকার অভিযোগ উঠেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার জনগণ।