বরাক তরঙ্গ, ২৪ ডিসেম্বর : আজ সকালে পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার খেরেনির পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা নাশকতামূলক কার্যকলাপ যাতে সংঘটিত না হয়, সে জন্য খেরেনি ও আশপাশের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।
এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে দুইজনের প্রাণহানির ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। উল্লেখযোগ্য যে, রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক হরমিত সিং জেলায় অবস্থান করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
উল্লেখ্য, খেরেনির নিকটবর্তী থেলামপি এলাকায় আন্দোলনকারী পক্ষের বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছিল। তারা ডংকামোকামের উদ্দেশ্যে মিছিল বের করে কপিলী সেতুর কাছে পৌঁছায়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।
অন্যদিকে, কপিলী সেতুর অপর প্রান্তে আন্দোলনবিরোধী পক্ষের কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলেও আন্দোলনকারী পক্ষ পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বারবার সমবেত হয়। আন্দোলনকারীদের একাংশ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় পুলিশের মহাপরিচালক হরমিত সিং, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অখিলেশ সিংসহ একাধিক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে সিংথি টিমুং নামে একজন ব্যক্তি আহত হন এবং পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়া, আন্দোলনকারীদের অগ্নিসংযোগের ফলে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সূর্য দে নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।


