ধোয়ারবন্দে প্রতিবাদী সভা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের
বরাক তরঙ্গ, ৩০ নভেম্বর : ধোয়ারবন্দ বাজারে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধোয়ারবন্দ আঞ্চলিক কমিটির আহ্বানে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার আয়েজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ধোয়ারবন্দ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহন মালা। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য মাধব ঘোষ। তিনি বলেন, প্রিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রাহকদের হুমকি মেসেজ পাঠানোর পর এবার মাইকে একই কায়দায় গতকাল বরাত প্রাপ্ত বেসরকারি কোম্পানির লোক প্রচার চালাতে শুরু করলে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের জন্য বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে চরম মিথ্যাচার করা হচ্ছে। স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের পর গ্ৰাহকদের বিল কেন দ্বিগুণ, তিনগুণ বৃদ্ধি হয়েছে বা গ্রাহকদের বিদ্যুতের মাশুলের সম্পূর্ণ তথ্য কেন ছাপানো কাগজে প্রদান করা হচ্ছে না তার কোনো উত্তর যেখানে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এপিডিসিএল এর কাছে নেই সেখানে এর সপক্ষে প্রচার চালানো কতটুকু যুক্তিসম্মত। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের যে কাজ চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অন্যায় ও গ্রাহক আইন বিরোধী। নতুন কোন ব্যবস্থা গ্রাহকদের ঘাড়ে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার কোনো আইনে নেই। বিদ্যুৎ খণ্ডের ব্যক্তিগতকরণের লক্ষ্যে প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
বিদ্যুৎ একটি পরিষেবা তাই অগ্রিম বিলের টাকা সংগ্রহ করা এবং টাকা শেষ হলেই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া কোনটাই বিদ্যুৎ আইনে নেই। বরং বিদ্যুৎ আইনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পূর্বে লিখিত নোটিশ প্রদান সহ যথেষ্ট সময় দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা উলঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাই গ্রাহকরা নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আন্দোলন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের তীব্র গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রামকুমার বাকতি, পরিতোষ ভট্টাচার্য প্রমুখ।