৫ ডিসেম্বর : ‘বন্ধু’ পুতিন। ঠিক এই সম্বোধন দিয়েই শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার হায়দরাবাদ হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠক শুরুর আগেই উপস্থিত আধিকারিকরা জানান, ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত-রাশিয়া অর্থনৈতিক সমন্বয়ের জন্য় রাজি হয়ে গিয়েছে। আর মোদির কথায়, এই সমন্বয় এবং বন্ধুত্ব, সবটাই নতুন মাত্রা পেয়েছে পুতিনের নেতৃত্বে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ অংশীদারিত্বের তকমা পেয়েছিল। এমনকি, গত ২৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন পুতিন। আমি তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাই।’ এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত মাসেই দিল্লি বিস্ফোরণ, এক মাসের ব্য়বধানে সেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বলয় নিয়ে এলেন পুতিন। এদিন তাঁকে পাশে নিয়েই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়েই হুঙ্কার তুললেন মোদী।
তাঁর কথায়, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে ভারত-রাশিয়া। পহেলগাম হোক বা ক্রোকাস সিটি হল, এই সমস্ত ঘটনার উৎস একটাই। ভারতের মনে করে, সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধ আঘাত আনে। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতেই বারংবার পাক প্রধানমন্ত্রী ও পাক সেনাপ্রধানকে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতে ‘ভারতবিরোধী’ হুঙ্কার তুলতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার যেন সেই সকল হুঙ্কারের জবাব দিয়ে দিলেন মোদী।
পুতিন যখন মোদির সঙ্গে বৈঠক ব্যস্ত। সেই সময় ইউক্রেনে চলছে ‘শান্তি-চুক্তি’ আরোপের কাজ। এই ‘শান্তি-চুক্তি’ প্রসঙ্গে আমেরিকার অবস্থান জানতে চেয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার মোদির সঙ্গে বৈঠকেও উঠে আসে সেই শান্তির কথা। উঠে আসে সাংবাদিক বৈঠকেও। মোদি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে আমাদের প্রথম থেকে একটাই মত, তা হল শান্তি। তাই সেই শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ভারত সর্বদা উভয় পক্ষের পাশেই দাঁড়াতে তৈরি।’


