শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কাছাড়ের বহু গ্রাম, বেড়ে গেল টিনসহ তারপোলিনের দাম
আশু চৌধুরী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ এপ্রিল : ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হল কাছাড় জেলার বহু গ্রাম। পাশাপাশি ভারী বর্ষণে জলমগ্ন শিলচর শহর।
রবিবার রাত আড়াই নাগাদ শিলাবৃষ্টি ও ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। শিলাবৃষ্টিতে সোনাই সার্কলের সোনাবাড়িঘাট, সৈদপুর, দক্ষিণ সৈদপুর, ধনেহরি, সৈদপুর, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের শো শো ঘরের টিন ছিদ্র হয়। অসংখ্য পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনমতে বৃষ্টি ভিজা রাত কাটিয়ে সোমবার সকালে কেউ টিন, কেউ তারপোলিন আনতে বাজারমুখী হন। কিন্তু পৌঁছে অনেকের কপালে চোখ। কেননা সুযোগ হাতছাড়া করতে নেই একাংশ হার্ডওয়্যার দোকানের মালিক। বাড়িয়ে দিলেন টিন বা তারপোলিনের দাম। সোনাবাড়িঘাট লস্কর হার্ডওয়্যার দোকানে যে তারপোলিন মিটার ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেই একই বস্তু অন্যান্যরা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় মিটার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু দাম যাইহোক মানুষ কিনতে বাধ্য। না হয় রাতে বৃষ্টি হলে আবারও ভিজতে হবে। নিরুপায় মানুষ। তাই সকাল দশটার ভেতরে সোনাবাড়িঘাট বাজারে তারপোলিন শেষ হয়ে যায়।
উত্তর কৃষ্ণপুরে জাতীয় সড়কে হাঁটুজল, বিপজ্জনক
এ দিকে, ভারী বৃষ্টিতে শিলচর শহরের অধিকাংশ জলের তলায়। ন্যাশনাল হাইওয়ে পয়েন্ট, সোনাই রোড, ইন্দিরা সরণী, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ সহ শিলচর শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। এ ছাড়া রয়েছে গর্ত। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীবাহী গাড়ি সহ পথচারীদের। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নতমানের না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমাজলে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে শহরবাসীর।
এ দিকে, উত্তর কৃষ্ণপুরে জাতীয় সড়কের উপর হাঁটু জল। এরমধ্যে বিশাল দু’টি গর্ত। যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া এলপি স্কুলের সামনে থেকে প্রায় দুই-তিনশো মিটার বৃষ্টির মরসুমের শুরু থেকে জলমগ্ন। অথচ ড্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রেনে জল পড়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ছিদ্র গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ দোকানের সামনের অংশ সুন্দর করে তুলতে পুরো ড্রেন দখলে চলে গেছে। এ ছাড়া ওই স্থানে পিএইচইর বড় পাইপ রোড ক্রস করা হয়েছিল। এতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দক্ষিণ কাছাড়ের জনগণের। কেননা সেখানে দু’দিন পর পর গর্ত সৃষ্টি হয়। উঠে যায় সিসি ব্লক। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।