‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে দেশের জনতা বিশ্বাস করে না’, রিজিজু

২ ডিসেম্বর : মঙ্গলবারও লোকসভায় অধিবেশন শুরু হতে না হতেই মুলতুবি হয়ে গেল। এদিন ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হল লোকসভার অধিবেশন। শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংসদের দুই কক্ষেই এসআইআর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীরা তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করে। অধিবেশন কক্ষ এবং সংসদ চত্বরে স্লোগান দেন বিরোধীরা।

কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের দুই সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, বাপি হালদার, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকেরা প্ল্যাকার্ড হাতে লোকসভার বাইরে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান ওঠে সংসদ চত্বরে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে দাবি করেন, ‘এখনই এসআইআর নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল এতদিন দূরত্ব বজায় রাখলেও এদিন এসআইআর ইস্যুতে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা।

বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্যসভায় সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে দেশের জনতা বিশ্বাস করে না। তাই বারবার বিরোধী দলগুলি ভোটে হারে। সেই রাগ, ক্ষোভ তাঁরা সংসদে এসে উগরে দেন। বিরোধীরা এসআইআর ইস্যুতে আলোচনা চাইছে। আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। তবে এখনই আলোচনা চাই বললেই তা করা যায় না। সংসদ কিছু নিয়ম মেনে চলে।’

সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। বিরোধীদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ‘সংসদ নাটক করার জায়গা নয়। এটা কাজ বাস্তবায়িত করার জায়গা। হেরে গিয়েছেন বলে সংসদ কক্ষে অশান্তি করবেন, এটা তো হতে পারে না।’

তারপরই পাল্টা তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁদের প্রশ্ন, মানুষের সমস্যার কথা বলা কি নাটক? নাকি আলোচনা থেকে মোদী সরকার পালাতে চাইছে? মঙ্গলবারও এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে এককাট্টা বিরোধীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *