শিলচর মেডিক্যালে শিশুকন্যা বিক্রি! জড়ালো দুই মহিলা এনজিওর কর্মকর্তাদের নাম
বরাক তরঙ্গ, ২ এপ্রিল : শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। শহরের তারাপুর এলাকার এক মহিলা এভাবে অভিযোগ আনলেও সন্দেহ করা হচ্ছে এর পেছনে রয়েছে শিশু বিক্রি চক্র। আর এতে নাম জড়িয়েছে কয়েকজন স্বঘোষিত সমাজসেবী মহিলার।
জানা গেছে, তারাপুরের বাসিন্দা অভিযোগকারী দাস পদবীর মহিলা অভিযোগ করেছেন, গত ১৬ মার্চ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর অম্বিকাপট্টি এলাকার বাসিন্দা দাস পদবীর অন্য এক মহিলা তার কাছ থেকে ওই শিশু কন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। তারাপুরের বাসিন্দা মহিলা
এ নিয়ে থানায় এজাহার দায়ের করার পর অম্বিকাপট্টির বাসিন্দা ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও জিজ্ঞাসা বাদে অম্বিকাপট্টির বাসিন্দা মহিলা দাবি করেছেন, জবরদস্তি ছিনিয়ে নেওয়া নয়, তিনি মোটা অংকের এর অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়ে গেছেন শিশুকন্যাকে।
খবর অনুযায়ী শিশু কন্যার এই ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছে কয়েকজন স্বঘোষিত সমাজকর্মী মহিলার। অভিযোগ অনুযায়ী এই স্বঘোষিত সমাজকর্মী মহিলারা শিশু কন্যা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী দালালের ভূমিকা পালন করেছেন। নিজেদের সমাজকর্মী পরিচয় দেওয়া এই মহিলারা ইদানিংকালে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন কাজকর্মের দরুন শহর জুড়ে বেশ চর্চায় রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে এরা বিভিন্ন আপত্তিজনক কাজকারবারে জড়িত বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। এবার মেডিক্যাল কাণ্ডে এদের নাম জড়িয়ে পড়ায়, অনুমান করা হচ্ছে এরা শিশুবিক্রি চক্রের সঙ্গেও জড়িত। এই চক্রে মেডিক্যাল সহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের ভেতরের কারো কারো জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগে একইভাবে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও এক সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটা চাপা পড়ে যায়। পুলিশের এক সূত্র জানান, মেডিক্যাল থেকে এবার শিশু কন্যা ছিনিয়ে নেওয়া বা বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে এনিয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে সূত্রটি এই মুহূর্তে খুব বেশি কিছু বলতে রাজি হননি। সূত্র : সাময়িক প্রসঙ্গ অনলাইন।