ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে : মন্ত্রী কৌশিক রায়

বরাক তরঙ্গ, ১৩ মার্চ : ২০২৫-২৬ সালের অসম বিধানসভায় পেশ করা  অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগের বাজেটে শিলচর ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শিলচরের যানজট নিরসনে শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। আর বিজেপি শিলচরে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখন বাস্তবায়নের পথে। শিলচরের ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে। এছাড়া বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী  এপ্রিল মাসের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে প্রকল্পগুলির জন্য এই তহবিল ব্যবহার করা হবে। বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের নতুন অফিস দিসপুরের সি ব্লকে খোলা হবে। বৃহস্পতিবার শিলচরে কাছাড় জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগ, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়।

এদিন কাছাড় জেলা সভাপতি রূপম সাহা ও রাজ্য সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থকে পাশে বসিয়ে কৌশিক রায় বলেন, রামনগরে নির্মিয়মাণ মিনি সচিবালয়ের নতুন নাম হবে বরাক উপত্যকা সচিবালয়। বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, পাঁচগ্রাম পেপার মিলের ২৯০০ বিঘা জমি রয়েছে। এরমধ্যে ২০৯ বিঘা জমির ওপর ৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পাচঁ গ্রাম পেপার মিলের বাকি অংশে একটি বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওঁগের পেশ করা বাজেটটি আসামের উন্নয়নের জন্য একটি জনকল্যাণমুখী বাজেট। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছ থেকে আসামের জনগণের প্রত্যাশা ছিল।  আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গৃহীত সংকল্পগুলি পূরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। এটি অসমকে শক্তিশালী করার এবং দেশের শীর্ষ রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে আসছে। 

ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে : মন্ত্রী কৌশিক রায়

এদিন মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, বাজেটে অরুণোদয় থেকে শুরু করে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন পর্যন্ত সবকিছুর জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। অরুণোদয়ের সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে অরুণোদয় প্রকল্পের আওতায় ৩৭.২ লক্ষ মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মহিলা উদমিতা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ৩২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের আর্থিক সহায়তা, নিযুত ময়না প্রকল্পের আওতায় দ্বিগুণ সংখ্যক ছাত্রীকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা, ২০০৬ সালের আগে প্রতিষ্ঠিত স্কুল ও কলেজগুলির বেসরকারিকরণ, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, ৬.৮ লক্ষ চা বাগান কর্মীকে ৫,০০০ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা, ২৫,০০০ নামঘর এবং ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবগুলিতে আর্থিক সহায়তা, অসমমালার আওতায় রাজ্যের সকল জেলায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, করিমগঞ্জ জেলায় একটি কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি বাজেট নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Author

Spread the News