জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে শ্রীপুরবাসী, ব্যক্তিগত তহবিলে নালা নির্মাণে এগিয়ে এলেন গ্রুপ সদস্যা
অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : জমাজলে আবদ্ধ প্রায় সত্তরটি পরিবার, জলমগ্ন কৃষিজমি সহ তিন-চারটি গ্রামের ফেরি পারাপারের একমাত্র রাস্তা! চরম দুর্ভোগের শিকার শ্রীপুর দ্বীতিয় খন্ড গ্রামের জনসাধারণ। জনদুর্ভোগ দেখে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ওয়ার্ড সদস্য শান্তা দাস। স্থানীয়দের অভিযোগ ডিলিমিটেশনের ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শ্রীপুরের সধাৰণ মানুষ। কোথায় ? কারকাছে জানাব আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা? কাটিগড়া সার্কল অফিসে! না কী হাইলাকান্দি জেলাশাসক কার্যালয়ে?এনিয়ে রয়েছে বিষম সংশয়।
নব গঠিত মহাদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর দ্বিতীয় খণ্ডের রুহুল আমিন মজুমদার (ডালিম),সাহারুল লস্কর, আব্দুল খালিক, বিজয় দাস ,সত্যজিত দাস,সুজিত দাস ,তুফানীয়া রবিদাস, নির্মল রবিদাস, বুদুয়া রবিদাস, দেবু দাস, নিন্টু দাস, অজয় দাস, সঞ্জয় দাস এবং বিশাল দাসের অভিযোগ, কোনও একব্যক্তি গ্রামের জল নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে কৃত্রিম বন্যায় আবদ্ধ সাধারণ মানুষ। জলের তলে ডুবে রয়েছে গ্রামবাসীদের কয়েক শতবিঘা কৃষি জমি। জমাজলে তলিয়ে গেছে কাটাখাল-শ্রীপুর ফেরিঘাটে যাওয়ার এক রাস্তা। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শান্তিপুর, ফুলবাড়ি এবং শ্রীপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ সহ স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। বিগত বছর বিষয়টি নিয়ে কাটিগড়ার সার্কল অফিসারের দ্বারস্থ হলে তাঁর হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে এর সমাধান হয়। এবছর ফের এই সমস্যা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে কিন্তু অভিযোগ নিয়ে কোথায় যাবেন স্থানীয় মানুষ ? এনিয়ে তাদের দেখা দিয়েছে বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ ডিলিমিটেশনের ফলে শ্রীপুর দ্বিতীয় গ্রাম কাছাড় জেলা থেকে বর্তমানে হাইলাকান্দি জেলায় সংযুক্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষ মহাদেবপুর গাঁও পঞ্চায়েতের ৬নং ওয়ার্ড সদস্যা শান্তা দাসের দ্বারস্থ হলে সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন তিনি।
রবিবার গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জল নিষ্কাশনের জন্য একটি বিকল্প নালা তৈরি করে দিয়েছেন শান্তা দাস। এছাড়াও আগামী দিনে বিষয়টি হাইলাকান্দির জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওয়ার্ড সদস্যা শান্তা দাসের এমন উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।