বিজেপি পশ্চিম কাটিগড়ার মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের
অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ৩ এপ্রিল : ২৬ এর নির্বাচনে পাখীর চোখ রেখে গত কয়েক মাস থেকে কাছাড়ের কাটিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের নানা স্থানে ঘুরাফেরা করছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি গেরুয়া দলের জার্সি এখনও পরিধান না করলেও শাসক দলের গুণগান করতে ব্যস্ত রয়েছেন। কাটিগড়ার চার মণ্ডলের মধ্যে পশ্চিম কাটিগড়া মণ্ডলের সভাপতি সহ একাংশ পদাধিকারীর সঙ্গে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। সরকারি অনুষ্ঠান হোক বা অন্য যেকোনও অনুষ্ঠানে বিধায়কের সঙ্গে পশ্চিম কাটিগড়ার মণ্ডল সভাপতি নিরাপদ দেব বা মণ্ডলের একাংশ নেতাকে প্রায়ই ইদানিং দেখা যাচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তৃণমূল স্তরের কর্মী মহলে। বুধবার এমনই এক দৃশ্য আমাদের কাছে উঠে এসেছে।
এদিন খেলমা তৃতীয় খণ্ডের অন্তর্গত কদমতলায় নিরাপদ দেবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে সরকারি কিছু সুবিধা এলে কংগ্রেসি লোকেদের সাথে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন বিজেপি পশ্চিম কাটিগড়ার মণ্ডল সভাপতি নিরাপদ দেব। এখানেই শেষ নয়, যেকোনো সরকারি প্রকল্প এলে কংগ্রেসি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের জন্য এসেছে বলে দাবি করেন নিরাপদ দেব।

এদিন প্রাক্তন জিপি সদস্য অমৃত লাল দাস, সমাজসেবী নকুল দাস, সোনাধর দাস, ফুলবাসী দাস, তরুতলা দাস, স্বর্ণবতী দাস, সরস্বতী দাস প্রমুখ অর্ধশতাধিক পুরুষ মহিলা অভিযোগ করে বলেন, খেলমা কদমতলায় একটি মন্দিরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নিরাপদ দেবকে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু তারিখের পর তারিখ দিয়ে গেছেন। একদিনও সরেজমিনে আসেননি। তারা জানান, মঙ্গলবার এলাকার প্রায় পঞ্চাশ জন মানুষ একত্রে মিলিত হয়ে নিরাপদ দেবকে তাদের এলাকায় যাওয়ার আহবান জানান। তখন তাদের সম্মুখস্থ সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে এলাকার মানুষ নিরাপদ বাবুর গাড়ি থামিয়ে গ্রামে যাওয়ার অনুরোধও করেন। কিন্তু নিরাপদ দেব অন্যত্র যাচ্ছেন, ফেরার পথে দেখা করবেন বলে সেখান থেকে চলে যান। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে আসবেন। কিন্তু তাঁর এই কিছুক্ষন আজও হয়নি।
এলাকার মানুষ তথা কর্মী সমর্থকরা, বরাক উপত্যকার মন্ত্রী কৌশিক রায় সহ জেলা সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি।