কৃষ্ণপুর জিপিতে ব্যতিক্রমি দৃশ্য, সাত গ্রুপ সদস্যের মত এক
বরাক তরঙ্গ, ২২ মে : পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিপির গ্রুপ সদস্যরা জয়ী হওয়ার পর সভাপতির কুরসি নিয়ে চলছে ঘোড়া কেনবেচার খেলা। অধিকাংশেরও বেশী গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনটাই চলছে। সমর্থন আদায় করতে গ্রুপ সদস্যদের বাড়িতে একাধিক বার যাচ্ছেন কুরসির দাবিদাররা। এরমধ্যেই এক ব্যতিক্রমি দৃশ্য দেখা গেল সোনাইয়ের কৃষ্ণপুর জিপিতে। জিপির সাত গ্রুপ সদস্য প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে সভাপতি নির্বাচন করতে মত জানান। বুধবার রাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে দশ নম্বর গ্রুপের সদস্য রতন দাস জানান, সভাপতি নির্বাচনে সাতজন গ্রুপ সদস্য একমত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই একজনকে সভাপতি নির্বাচন করবেন তাঁরা। যেহেতু সভাপতি নির্বাচনের সময়সীমা প্রায় এক মাস বাকি রয়েছে। তাই পরবর্তীতে সভাপতির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করলেও তারা সাতজনের মতামত নিয়েই কাজকর্ম চলবে। জিপির বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সহ গ্রাম উন্নয়নের প্রকল্প যাতে সঠিক বাস্তবায়ন হয় এবং যোগ্যহিতাধিকারীরা সুযোগ সুবিধা পায় এই লক্ষ্য থাকবে তাদের।
এদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ফয়সল আহমেদ মজুমদার সাতজন গ্রুপ সদস্য একমত হওয়ায় খুশি ব্যাক্ত করেন। গ্রামবাসীদের তরফে তাদেরকে সমর্থন করে তাঁরা যোগ্য একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করবেন এবং তাদের নেতৃত্বে জিপির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এক নম্বর গ্রুপের সদস্য আব্দূল কাদির বড়ভূইয়া, পাঁচ নম্বর গ্রুপের সদস্য স্মৃতি বর্ধনের প্রতিনিধি সমীর বর্ধন, সাত নম্বর গ্রুপের সদস্য মরিয়ম বেগম বড়ভূইয়ার প্রতিনিধি সইদুল আহমেদ বড়ভূইয়া, আট নম্বর গ্রুপের সদস্য সাবানা ইয়াসমিন লস্করের প্রতিনিধি বুবুল হোসেন লস্কর, নয় নম্বর গ্রুপের সদস্য সাহানি বেগম বড়ভূইয়ার প্রতিনিধি বিকি বড়ভূইয়া, ও দুই সাজু আহমেদ লস্করের প্রতিনিধি। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন মজুমদার, লালন উদ্দিন বড়ভূইয়া, রনধীর দাস, মহসিন আহমেদ বড়ভূইয়া, অরবিন্দ শুক্লবৈদ্য, রাজু পাল, শুভেন্দু শুক্লবৈদ্য, জিল্লু বড়ভূইয়া, সিপন বড়ভূইয়া প্রমুখ।
