কন্টেনার গাড়ি দিয়ে মাদক পাচার, চাকা বন্ধ রেখে কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালকদের চুরাইবাড়িতে
বরাক তরঙ্গ, ২৩ ডিসেম্বর : চুরাইবাড়িতে অসম পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযানে আতঙ্কগ্রস্থ কন্টেনার চালকেরা। গাড়ি নিয়ে ত্রিপুরায় পাড়ি দিতে অনীহা চালকদের। সলগইয়ে গাড়ি রেখে কোম্পানির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ তাদের।
সম্প্রতি একের পর এক কন্টেনার গাড়ি মাদক পাচারের দায়ে আটকা পড়ছে। আবার গাড়িগুলো একাংশ বেসরকারি ট্রান্সপোর্ট সংস্থার। অবশেষে তিনটি সামগ্রী বোঝাই কন্টেনার গাড়ি সড়কে রেখে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল চালকদের।
শনিবার বাজারিছড়া থানাধীন অসম-ত্রিপুরা ৮ নং জাতীয় সড়কের সলগইয়ে এলাকায় গাড়ি রেখে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন ভুক্তভোগী চালকেরা। তাদের কথায় গুয়াহাটির সেফ এক্সপ্রেস ট্রান্সপোর্ট সংস্থার বারোটি গাড়ি নিয়মিত পার্সেল সামগ্রী নিয়ে চলাচল করছে গুয়াহাটি-আগরতলা রুটে। সম্প্রতি তাদের দু’টি গাড়ি যথাক্রমে চুরাইবাড়ি ও হারেঙ্গাজাওয়ে ধরা পড়ে নেশার কফ সিরাফ সমেত পুলিশের হাতে। এতে ধরা পড়েন গাড়ির চালকরাও। কিন্তু এসব কাজে গাড়ির চালকেরা কোন ভাবে যুক্ত নন। চালকদের কথায় তাদের অজ্ঞাতে ট্রান্সপোর্ট সংস্থার কর্মীরা গাড়িতে সামগ্রী বোঝাই করে থাকেন।পরে কোম্পানি নিজ দায়িত্বে গাড়ির বাইরের তালায় সিল করে তাদের হাতে ধরিয়ে দেয় সামগ্রীর চালান। এসব একাংশ গাড়িতে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় নেশা সামগ্রী।এতে নির্দোষ চালকদের জেল হাজতে থাকতে হয়। তাই এই গাড়িগুলো ট্রান্সপোর্ট সংস্থার পক্ষে পুলিশি তল্লাশি না করানো পর্যন্ত তারা গাড়ি নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।এমনকি বিষয়টি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নজরেও আনা হয়েছে।
এদিকে, এমন খবর পেয়ে বাজারিছড়া পুলিশের একটি দল অকুস্থলে পৌছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তবে গাড়িগুলো গেটে না গেলে পথে তল্লাশি করতে নারাজ পুলিশ। বাজারিছড়া পুলিশের কথায় গাড়িতে কি সামগ্রী বোঝাই হচ্ছে তা পরখ করে দেখার অধিকার বা এক্তিয়ার রয়েছে চালকদের। তাই গাড়িতে নেশা সামগ্রী বা অবৈধ পণ্য ধরা পড়লে এর প্রথম দায়ভার অবশ্য বর্তাবে সংশ্লিষ্ট চালকদের উপর।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।