মহাসড়কে চার চাকা বাহনের ধাক্কায় আহত শিশুর মৃত্যু, চালককে পাকড়াও না করায় ক্ষোভ
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ সেপ্টেম্বর : সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশুর মৃত্যু ঘটল। তিনদিন মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে গোঁসাইপুরের বুঙোতন সিংহের একমাত্র মেয়ে বিধিকা সিংহ। সোমবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুর খবর বাড়ি ও এলাকায় পৌছলে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর উধারবন্দের দুর্গাপুর দ্বিতীয় খণ্ডের মহাসড়কের তেমাথায় আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটায় বিধিকা সিংহ (১৩) ও তার মামা তম্বা সিংহ (৪০) দুইজন এএস ১১ এম-৩১৩২ নম্বরের একটি স্কুটিতে করে গোঁসাইপুর থেকে শিলচর রামনগর বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় যাওয়ার পথে পেছন থেকে বেপরোয়াভাবে আসা এএস ১১ ভি ৯৪২২ নম্বরের একটি চার চাকার গাড়িটি ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় স্কুটি থেকে চালক তম্বি সিংহ ও বিধিকা সিংহ দু’জন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। আশপাশের মানুষ সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে নিয়ে শিলচরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। বেগতিক অবস্থা দেখে চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গাড়ির ধাক্কায় তেরো বছরের বিধিকা সিংয়ের মস্তিষ্কের তিনটি জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগার কারনে মেয়েটিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় থাকে। সোমবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শিশুটি মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, আহত তম্বা সিংহ শিলচর মেহেরপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন।
সোমবার মৃত বিধিকা সিংহয়ের পিতা বুঙোতন সিংহ বলেন, দু’দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দুর্ঘটনাকারী গাড়িটির চালককে উধারবন্দ পুলিশ এখনও পাকড়াও করতে পারেনি। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসারত থাকা তম্বা সিংহ জানান, সেদিন দুর্ঘটনার সময় তিনি লক্ষ্য করেন গাড়িটির চালক একজন মহিলা ছিলেন। স্থানীয় নাগরিক মণিতন সিংহ বলেন, এই অসহায় পরিবারের একমাত্র মেয়ে বিধিকা সিংয়ের ও তম্বা সিংহয়ের ঘটনাটির গাড়ি চালককে উধারবন্দ পুলিশ অবিলম্বে পাকড়াও করেন এবং গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে সঠিক বিচারের দাবি জানান।