হাই টেনশন বিদ্যুৎ তারের সংস্পর্শেই কুমারঘাটের মর্মান্তিক ঘটনা, পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী
বরাক তরঙ্গ, ২৮ জুন : হাই টেনশন বিদ্যুৎ তারের সংস্পর্শে এসে ত্রিপুরা রাজ্যের কুমারঘাটের রথযাত্রার ছয় পূণ্যার্থী ঘটনাস্থলে পুড়ে মৃত্যু ঘটল।বুধবার বিকেলে উল্টোরথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, মহিলা ও যুবক। ঘটনাস্থলে মৃতদের মধ্যে দুজন শিশু একজন পুরুষ এবং তিনজন মহিলার পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সীমা পাল (৩৩), সুস্মিতা বৈদ্য (৩০), রূপক দাস (৪০), সোমা বিশ্বাস (২৮), রোহন দাস (৯) ও সানু মালাকার (৯)। বাকি আরেক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, কুমারঘাট ইস্কন মন্দিরের সুসজ্জিত বিশাল রথটি কুমারঘাট মোটর স্ট্যান্ড নাট মন্দির থেকে টাউন হলে পৌছানোর পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।এমন সময়ে রথের চুড়া উপর দিয়ে বহে চলা হাই ভল্টের তারের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রথ সহ মাটিতে। এতে অনেকের শরীরের আগুণ লাগে। ফলে মুহুর্ত্বের মধ্যে বিষাদের ছায়া নেমে আসে কুমারঘাট জুড়ে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পঁচিশ জনের মত। আহতদের ভর্তি করা হয় কুমারঘাট হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকের হাল বেহাল থাকায় তাদেরকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় গোটা কুমারঘাট জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে কুমারঘাটে পৌঁছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী কুমারঘাট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক ভগবান দাস, জেলা পুলিশ সুপার কান্তা জাহাঙ্গীর সহ অন্যান্য আধিকারিক।
তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে যান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মৃতের পরিবারদের সাথে কথা বলে সমবেদনা জানান। এবং আহতদের সাথে কথা বলে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। আহতদের কাছ থেকে ঘটনার সম্পর্কে অবগত মুখ্যমন্ত্রী।
তারপর মুখ্যমন্ত্রী কুমারঘাট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, কুমারঘাটে উল্টো রথ ঘিরে মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতের পরিবারদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে চার লক্ষাধিক টাকা, ৬০ শতাংশের অধিক আহতদের পরিবারদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষাধিক টাকা এবং ৬০ শতাংশ কম আহতদের পরিবারদের দেওয়া হবে ৭৪ লক্ষাধিক টাকা। কুমারঘাট গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি আরো বলেন যাদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে নিয়ে যেতে হবে তাদেরও চিকিৎসার ভার বহন করবে সরকার।