বরাক তরঙ্গ, ১৬ ডিসেম্বর : নিখোঁজের আট দিন পর নিলন্ত রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কাটলিছড়া পুলিশ। কাটলিছড়া থানার অন্তর্গত অসম–মিজোরাম সীমান্তবর্তী লক্ষীঘেনা এলাকার ঘন জঙ্গলের বাঁশ বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিলন্ত রায় হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী নৃপেশ নমশূদ্রকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল প্রায় তিনটা নাগাদ হাইলাকান্দির ম্যাজিস্ট্রেট, বিশাল পুলিশ বাহিনী ও বরুনছড়া গ্রামের শতাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
মৃতের মাথায় দুটি ও পায়ে একটি দা-এর কোপের চিহ্ন ছিল। অভিযুক্ত নৃপেশের ব্যবহৃত দা কাটলিছড়া পুলিশ উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নিলন্ত রায় ও নৃপেশ নমশূদ্র একসঙ্গে লক্ষীঘেনা বাঁশ বাগানে গিয়েছিলেন। নিলন্ত রায় ও নৃপেশ নমশূদ্র দু’জনেই কাটলিছড়া থানার অন্তর্গত বরুনছড়া যোগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্পর্কে বেয়াই। বুধবার থেকে দু’জনই বাড়িতে ফেরেননি। বৃহস্পতিবার বরুনছড়ায় সাপ্তাহিক বাজারের দিনেও তারা ফিরে না আসায় নিলন্তের পরিবার খোঁজ নিতে খেজুরাবস্তী হয়ে লক্ষ্মীঘেনা এলাকায় যান। স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন, সোমবার দু’জনকে বাঁশ বাগানের দিকে যেতে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে, নৃপেশ বাড়ি ফেরার পর ঘাড়মুড়া, সোনাছড়া ও রূপাছড়া এলাকায় আত্মগোপন করে বলে খবর পায় নিলন্তের পরিবার। পরে জানা যায়, সোমবার ১৫ ডিসেম্বর অভিযুক্ত নৃপেশ নমশূদ্র হাইলাকান্দি আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার কাটলিছড়া থানার ওসি এমপি দাওলাগপু তাকে আটক করেন।
উল্লেখ্য, নিলন্তের স্ত্রী সুনীতি প্রথমে স্বামী নিখোঁজ মর্মে থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন।


