মুখ্যমন্ত্রীর বরাক সফরকে স্বাগত জানিয়ে একগুচ্ছ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস চাইল বিডিএফ
বরাক তরঙ্গ, ২৩ জুলাই : আগামী ২৪ আগস্ট নেতাজির মূর্তি উন্মোচন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বরাকে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর এই সফরকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বরাক তথা রাজ্যের বাঙালিদের সমস্যা সমাধানে কিছু দাবি পেশ করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বুধবার বিডিএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে এদিন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশবাসী তথা প্রতিজন বাঙালির কাছে এক অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব। মুখ্যমন্ত্রী বরাকে স্বহস্তে নেতাজি মূর্তির উন্মোচন করবেন এটি সমস্ত বরাক তথা দেশবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর এই উদ্যোগকে তাই সাধুবাদ জানাচ্ছে বিডিএফ। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে অভিহিত করেছেন। তাই তাঁরা চাইছেন যে দেশের টাকার যেকোন একটি নোটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি অন্তর্ভুক্ত হোক। তিনি বলেন এই প্রস্তাব একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী তদ্বির করলেই, সংসদে উত্থাপিত এবং বাস্তবায়িত হতে পারে। তাই এব্যাপারে তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে দাবি জানিয়েছেন।
প্রদীপ দত্তরায় এও বলেন, বরাকের ভাষা আন্দোলনের পর ৬৫ বছর অতিক্রান্ত। এখনও ১৯ শে মের ভাষা শহিদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি। ভাষা শহিদ স্টেশন ‘নামকরণের একটি সামান্য দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার তথা রেলমন্ত্রক সবুজ সংকেত জানানোর পরও গত আট বছর ধরে ফাইলটি দিশপুরে আটকে আছে। প্রদীপ দত্তরায় এদিন বলেন যে রাজ্যের বাঙালিদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে আগামী ২৪ শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ব্যাপারে ঘোষণা করেন তবে বরাক সহ রাজ্যের বাঙালিরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন এবং খুশি হবেন। তাই ২৪ শে জুলাই নেতাজি মূর্তির উন্মোচনের সময়ই ভাষা শহিদ স্টেশন ‘নামকরণের বিষয়টি ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বরাক উপত্যকার ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি পাঁচগ্রাম কাগজ কলের জমিতে অবিলম্বে শিল্প স্থাপন সহ বরাক উপত্যকার তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত করার এদিন দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবার বর্ষায় তিনমাসের জন্য বরাক উপত্যকা রেল ও সড়ক পথে বাকি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। বাইরে যাবার একমাত্র উপায় থাকে বিমান। তারও ভাড়া ইদানীং আকাশছোঁয়া হওয়ায় উপত্যকার মানুষ প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উড়ান প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। বরাকের মতো প্রান্তিক অঞ্চলের জন্য এখানে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী। তাই এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি অবিলম্বে উড়ান প্রকল্পের অধীনে শিলচর-গুয়াহাটি এবং শিলচর কোলকাতা বিমান যাতায়াতের বন্দোবস্ত করার দাবি জানায়েছেন তিনি।