সর্বভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে পৃথক অলিম্পিক বোর্ড তৈরির দাবি বিডিএফের
বরাক তরঙ্গ, ১০ এপ্রিল : গত কিছুদিন যাবৎ আসাম অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের গুয়াহাটির কর্মকর্তারা শিলচর ডিএসএ সহ বরাকের জেলাগুলোর ক্রীড়াক্ষেত্রে অহেতুক নাক গলাচ্ছেন ও বিভিন্ন বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরাকের জন্য পৃথক অলিম্পিক বোর্ড গঠনের দাবি জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, বাবুল হোড় ও বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং এর উদ্যমে যখন শিলচর ডিএসএ এতদঞ্চলের ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে তখনই গুয়াহাটির এসব কর্মকর্তাদের দাদাগিরি তাতে বাদ সাধছে। তিনি বলেন যদিও তাঁরা ডিএসএর সাথে সরাসরি যুক্ত নন কিন্তু এই ধরনের আচরণ কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় কারণ এতে বরাকের ক্রীড়াক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন ডিএসএ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সাধারণ সভা আহ্বান করে নতুন বোর্ড নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু আসাম অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ললিত কোঁয়র সেই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রদীপবাবু বলেন যে এতদঞ্চলের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে গুয়াহাটির তরফে কোন উদ্যোগ নেই, নেই কোন বরাদ্দ। কিন্তু এরপরও এই ভাবে অনৈতিক নাক গলানো চলছে, যার সর্বস্তরে প্রতিবাদ দরকার।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরও বলেন, সন্তোষমোহন দেব বা গৌতম রায়ের কার্যকালে এসব ব্যাপার ছিল না। সিদ্ধান্ত গ্রহনের ব্যাপারে এতদঞ্চলের ক্রীড়া সংগঠকদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব অনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন যে কিছুদিন আগে আসাম বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম ডিএসএর সভাপতি বাবুল হোড়কে ফোন করে বলেন যে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নির্দেশক্রমে তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে কারন এই পদে রাজদীপ রায়কে মনোনীত করা হয়েছে এবং সম্পাদক পদে কৌশিক রায় ও তাকে নিযুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রদীপ বাবু বলেন, হটাৎ করে এই ধরনের নির্দেশে সন্দেহ হওয়ায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ফোন করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, শিলচর ডিএসএর ব্যাপারে এমন কোন নির্দেশ তিনি দেননি। এই বার্তালাপের ব্যাপারটি তখন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় শিলচরের নেতাদের এই চক্রান্ত বানচাল হয়।
