চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেফতার, তীব্র ক্ষোভ
রাজীব দে, ঢাকা।
২৫ নভেম্বর : সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একটু পরিষদের নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ অভিমত প্রকাশ করে বলেন, এ গ্রেফতারের ফলে স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে প্রভু চিন্ময়কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীকে জাতীয় স্বার্থে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
মনীন্দ্রকুমার নাথের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, প্রফেসর ড. নিমচন্দ্ৰ ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
উল্লেখ্য,গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। মামলার পরই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁরা হলেন রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।
মামলার বাকি অভিযুক্তরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দনকুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছেন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
