১৪/১৫ বয়সটি পরিশ্রম করার বয়স, এই সময়ে সর্বোচ্চ সাধনায় ব্রতি হতে পারে মানুষ : রোহনকুমার

বরাক তরঙ্গ, ১৭ আগস্ট : মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পিত সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রদের জন্য একটি ‘মেন্টর মেন্টি’ কার্যসূচি হচ্ছে আরোহন। এটি এমন একটি কার্যসূচী যেখানে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া, হাত ধরে সমর্থন করে সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া। একটি সঠিকভাবে নির্দেশিত এবং পরিচালিত আগামী প্রজন্মকে সমাজের শক্তি এবং সম্পদ এবং অসমের ভবিষ্যত এবং আমাদের জাতির গর্ব করে তোলা।

আরোহন প্রকল্পের অধীনে মেন্টিদের সঙ্গে মতবিনিময়____

আরোহন এর অধীনে অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির ছাত্রদের (প্রথম ছেলে/মেয়ে) জেলাশাসক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপচারিতার জন্য বৃহস্পতিবার শিলচর গান্ধীভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেধাবী শিক্ষার্থীরা ( IX-XII-এর মেন্টরিং/কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে) সহায়তা প্রদান করতে বৃহস্পতিবার শিলচর গান্ধী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলাশাসক রোহনকুমার ঝা কর্মজীবনের অগ্রগতির জন্য উৎসাহ প্রদান করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের জন্য উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির একটি সিরিজ শুরু করেছে। বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের মান আরোহণ, এমনই একটি উদ্যোগ, প্রত্যন্ত, গ্রামীণ থেকে মেধাবী ছাত্রদের সনাক্ত করণের জন্য এবং দরিদ্র পরিবারগুলিকে তাদের অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ারের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণের জন্য আরোহণ-এর উপর একটি ওয়েব পোর্টাল ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে।

১৪/১৫ বয়সটি পরিশ্রম করার বয়স, এই সময়ে সর্বোচ্চ সাধনায় ব্রতি হতে পারে মানুষ : রোহনকুমার

জেলা কমিশনার ঝা বলেন, পড়াশুনায় প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, ১৪/১৫ বয়সটি প্রচুর পরিশ্রম করার বয়স, এই বয়সে মানুষ সর্বোচ্চ সাধনায় ব্রতি হতে পারে, এই বয়সে শরীর ও মন সর্বতোভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে যেকোনো দিকে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ভবিষ্যৎকে নির্ধারিত করতে পারে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নেতা যারা তাদের মাতৃভূমিকে গৌরবের দিকে নিয়ে যাবে, সমাজের মধ্যে থাকা বিভিন্ন দিকে এগিয়ে যেতে হলে মাধ্যমিক শিক্ষাকে শিশুদের শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, ধীরে ধীরে কাজের জগতে প্রবেশ। অতএব, এই সফল সম্পদ পুল তৈরি করতে.মেধাবী শিশুদের শুরু থেকেই তৈরি করা প্রয়োজন।

১৪/১৫ বয়সটি পরিশ্রম করার বয়স, এই সময়ে সর্বোচ্চ সাধনায় ব্রতি হতে পারে মানুষ : রোহনকুমার

এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন আধিকারিক কিষেন চড়ুই অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বুঝিয়ে বলেন যে কিভাবে ছাত্রছাত্রীরা উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিরা বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা হলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অন্তরা সেন, স্কুল সমূহের পরিদর্শক শামীমা ইয়াসমিন আরা রহমান, শিলচর মেডিক্যাল কলেজের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপঙ্কর চক্রবর্তী, শিলচর সিভিল হাসপাতালের শ্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নজরিম এম বড়ভূইয়া, সহকারী কমিশনার আনন্দ মালহোত্রা।মএবং বহ্নিকা চেতিয়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন বিদ্যুৎ দেব চৌধুরী এবং সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিপ্লব বিশ্বাস।

১৪/১৫ বয়সটি পরিশ্রম করার বয়স, এই সময়ে সর্বোচ্চ সাধনায় ব্রতি হতে পারে মানুষ : রোহনকুমার

এর আগে রুপালি দাস ও মুসকান চৌধুরী ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখে। পরে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জেলা কমিশনার তার বাংলো এবং গান্ধীবাগ পরিদর্শন করে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। আমন্ত্রণ জানানো হয় ১৬৭ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের। এর মধ্যে রয়েছে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় (KGBV), তাপাং। এ ছাড়া কাটিগরা-৩৩, লক্ষীপুর -১৫, নরসিংহপুর-২৩, রাজাবাজার-১২, শিলচর-২৬, শালচাপড়া-১৯, সোনাই-২৩ এবং উধারবন্দ-১৬। এতে বই অনুদানের জন্য তাদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মেন্টি প্রতি ১০০০/- টাকা করে দেওয়া হয়। বইয়ের স্পেসিফিকেশন, তালিকা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রতীকি হিসেবের ছাত্র রামকুমার সিংহের হাতে ১০০০ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদন : জনসংযোগ, শিলচর।

Author

Spread the News