পুতনি চা-বাগানে কাজ শুরু, ধন্যবাদ রাজদীপের
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১২ মে : পুতনি চা-বাগানের লকআউটের সমস্যা সমাধান হওয়ায় খুশির আবাহ পরিলক্ষিত হয় বাগানে। শিলচরে শনিবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার যথারীতি সংশ্লিষ্ট বাগানে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা।
এ দিন বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গোয়ালা ও সভাপতি কৃপানাথ মালা সহ বাগান ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুতনি চা বাগানে উপস্থিত হয়ে পৃথক পৃথক ভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পাশাপাশি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পুতনি বাগান সহ চাম্পাবাড়ি ও পিপলাগুল ফাঁড়ি চা বাগানে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন শ্রমিক ইউনিয়নের পদাধিকারীরা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজদীপ গোয়ালা বলেন, মঙ্গলবারে পুতনি বাগানের শ্রমিকরা সরকারি নির্ধারিত দৈনিক মজুরি ২২৮ টাকা কার্যকর করার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য দাবিও ছিল যা বিভিন্ন সময়ে বাগান পঞ্চায়েত ও শ্রমিকদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। হয়তো তখন কিছু বোঝাবুঝির অভাবে শ্রমিকদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হয়েছে। তবে বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়ন চায় বাগানে আন্দোলন না হোক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। আমারা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। আর এই প্রচেষ্টা করে থাকি আমরা। বিভিন্ন বাগানে নানা অভিযোগ থাকে তবে ইউনিয়ন বাগান, পঞ্চায়েত ও পালিকপক্ষ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এতে সম্ভব না হলে শ্রম বিভাগকে অবগত করা হয় তখন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়।এবং শনিবার এলসি অফিসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এতে সব প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে শান্তিপূৰ্ণ পরিবেশে সমস্যার সমাধান করেছি এবং লকআউট প্রত্যাহার হয়েছে। ফলে রাজদীপবাবু সংবাদ মাধ্যমের যোগে বাগানের মালিক পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিনের পৃথক পৃথক সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরাক চা যুব কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সভাপতি সচীন শাহু, সুদীপ গোয়ালা, ইউনিয়নের সদস্য শত্রুঘ্ন চাষা, তিন বাগানের পঞ্চায়েত, দুলাল চাষা, ইউনিয়নের অর্গানাইজার জয়গনেশ সালিয়া করিমগঞ্জ জেলা যুব মোর্চার সদস্য সুদীপ গোয়ালা, সুরজিৎ সিং, চন্দন সালিয়া, ভিকি পাণ্ডে প্রমুখ।