বেতুকান্দির স্লুইস গেট নিয়ে ফের যড়যন্ত্র : সুস্মিতা
বরাক তরঙ্গ, ১ জুন : বেতুকান্দি স্লুইস গেট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করতে ফের সাটার খোলায় শহরে কিছুটা জল ঢুকেছে এবং গেটের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি মনে করেন এবারও ওই এলাকায় ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত জলসম্পদ বিভাগের কিছু আধিকারিকরাও। তিনি ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং বলেছেন লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলে তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন।
শনিবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি এমন অভিযোগ এনে বলেন, ‘আমাদের তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটা অনুযায়ী, ২৯ মে সকাল ৮টা নাগাদ বন্ধ করা হয়েছিল বেতুকান্দির স্লুইস গেট কারণ তখন বরাক নদীর জল দ্রুত বাড়ছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভাগের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক তাদের জুনিয়রদের ফোন করে গেট খুলতে বলেন। তারা চাইছিলেন কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার একসঙ্গে মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে গেট বন্ধ করবেন এবং এর একটা ফটোশুট হবে। যখন স্থানীয় বিধায়ক সেখানে গিয়ে পৌঁছলেন ততক্ষণে বরাকের জল গেট দিয়ে দ্রুত গতিতে শহরে ঢুকতে শুরু করেছে। তারা গেট বন্ধ করতে তোড়জোড় করলেও কিছুতেই সেটা বন্ধ করা যায়নি বরং গেটের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর আমরা দেখলাম প্রায় দুদিন ধরে সেখানে বালি ভর্তি বস্তা ফেলা হলো, এতে লক্ষাধিক টাকাও খরচ হলো। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিলেন্স সেল এই তদন্ত করুক। কে গেট খোলার আদেশ দিয়েছিলেন, এর পেছনে কি কারণ ছিল, ইত্যাদি বিষয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হোক’
সম্প্রতি জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা বরাক উপত্যকা সফর করে গেছেন এবং এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, ২০২২ সালে মন্ত্রী বলেছিলেন বেতুকান্দির সমস্যা ছয় মাসে মিটবে, তবে দু’বছর পর প্রমাণ হলো সমস্যা মেটেনি। এবার তিনি নতুন দিন ঠিক করেছেন এবং বলেছেন এক বছরের মাথায় সমস্যা সমাধান হবে। আসলে তারা আদৌ চান না এই সমস্যা সমাধান হোক কারণ এই এলাকা তাদের কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস।