সুশীল-মীরা চৌধুরী স্মৃতি এ ডিভিশন ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন টেবিল টেনিস ক্লাব
সুপার ডিভিশনের ছাড়পত্র নিয়ে উচ্ছাস উধারবন্দে____
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ ফেব্রুয়ারি : শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা-র সুশীল চৌধুরী ও মীরা চৌধুরী স্মৃতি এ ডিভিশন ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতল উধারবন্দ টেবিল টেনিস ক্লাব। মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার ফাইনালে তারা হারায় তারাপুর এসি-কে। সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে মাত্র ১২১ রান করেও তা ডিফেন্ড করে ফেলে টিটি ক্লাব। ১০৫ রানের মধ্যে তারাপুর এসি-কে গুটিয়ে দিয়ে তুলে নেয় চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা ও আগামী মরশুমের জন্য সুপার ডিভিশনের ছাড়পত্র।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা সহ ট্রফি এবং রানার্স আপ দলকে নগদ ১২ হাজার টাকা সমেত ট্রফি প্রদান করেন উপস্থিত অতিথিরা। খেলায় ব্যাক্তিগত পুরস্কারের মধ্যে সিরিজ সেরা পুরস্কার গ্রহণ করেন ধ্রুবজ্যোতি রায়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার লাভ করেন জয়ী দলের সঞ্জয়কুমার সিং। তাছাড়া সেরা ব্যাটসম্যান প্রীতম দেবনাথ (ইটখলা স্পোর্টিং), সেরা বোলার চ্যাম্পিয়ন দলের প্রীতম নন্দী। ফেয়ার প্লে ইটখলা স্পোর্টিং এবং সেরা আম্পায়ার বিশাল তিওয়ারি পুরস্কৃত হন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সভাপতি বাবুল হোড়, ক্রিকেট শাখা সচিব নিরঞ্জন দাস, আম্পায়ার সচিব হিমাদ্রী শেখর দাস, স্পনসরার পরিবারের সদস্য সহ অন্যান্যরা।
এদিকে খেতাব জেতার পর উধারবন্দের ক্রীড়া অনুরাগীরা চ্যাম্পিয়ন টেবিল টেনিস ক্লাবের পুরো দলকে নিয়ে এসএম দেব স্টেডিয়াম থেকে বিশাল র্যালি করে উধারবন্দ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। খোলা গাড়িতে ট্রফি সহ খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক গাড়ি ও বাইক সহযোগে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উধারবন্দ থানার কাছে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে। সেখানে আতসবাজি পোড়ানো সহ অকাল হোলিতে মাতেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। পরে খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা, সদস্য ও সমর্থকরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে পায়ে হেঁটে টেবিল টেনিস ক্লাব পর্যন্ত যান। সেখানে আরেকপ্রস্থ বাজি পোড়ানো হয়।
পরে ক্লাবে বিজয়ী দলকে নিয়ে গিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। সেখানে ক্লাব সভাপতি সোমনাথ দেব, সচিব কল্লোল দাস, প্রাক্তন সভাপতি সূর্যকুমার শর্মা সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন অধিনায়ক ধ্রুবজ্যোতি রায়। উল্লেখ্য, এদিন ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন সঞ্জীব রায় ও বিশাল তিওয়ারি। স্কোরার ছিলেন দীলিপকুমার দাস।