হাইলাকান্দিতে জনতার তাড়া খেয়ে সভাস্থল থেকে পালালেন সুজাম-করিম
রতনপুরে পুড়ল জাকির হুসেনের কুশপুতুল_____
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ এপ্রিল : নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাইলাকান্দিতে এআইইউডিএফ বিধায়ক সহ নেতা-কর্মীদের প্রচার কাজে বাধার মুখে পড়ছেন। হারাচ্ছেন গ্রহণযোগ্যতা। জনতার তাড়া খেয়ে সভাস্থল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন দলীয় বিধায়ক সহ নেতারা। রবিবার একই ঘটনা ঘটল হাইলাকান্দি জেলায়। নিয়ামতপুরে দুই বিধায়ককে তাড়িয়ে দেন জনতা। শনিবার রাজ্যশ্বপুরে সভায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রাতে রতনপুরে পুড়ল বিধায়কের কুশপুতুল।
রবিবার বিকেলে জনতার হাতে তাড়া খেলেন ইউডিএফের দুই বিধায়ক। নির্বাচনী প্রচার সভায় ক্ষুব্ধ জনতার হামলায় কোনও প্রকারে পালিয়ে রক্ষা পেলেন কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর এবং সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া। ঘটনার আকস্মিকতায় দিগভ্রান্ত হয়ে দুই বিধায়ক পালিয়ে রক্ষা পান বলে স্থানীয়রা জানান।
এ দিন সন্ধ্যায় লালা থানার নিয়ামতপুর গ্রামের ঈদগাহের কাছে নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীর ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন দুই বিধায়ক। ওই সভায় ইউডিএফ দলে সাধারণ মানুষকে যোগদানের কর্মসূচিও ছিল। কিন্তু যাঁরা দলে যোগ দিতে এসেছেন তাদের অধিকাংশই নিয়ামতপুর অঞ্চলের ছিলেন না। এতে স্থানীয় মানুষ নিজেদের গ্রামের অপবাদ হতে চলেছে বুঝতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা প্রতিবাদ জানাতে সভায় হৈ হল্লা শুরু করেন। একসময় যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে পড়ে। উত্তেজিত মানুষ হামলা শুরু করে দেন বলে জানা গেছে৷
তাড়া খেয়ে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন ও বিধায়ক করিম উদ্দিন অবস্থা বেগতিক বুঝে মঞ্চ ছেড়ে সরে যেতে উদ্যত হলে উন্মত্ত জনতা তাদের তাড়া করতে শুরু করেন। হৈ হৈ রবে জনতা বিধায়ক দু্’জনকে তাড়া করে বেশ কিছু দূর নিয়ে যান। এ ঘটনায় নিয়ামতপুর অঞ্চলে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷
এ দিকে, শনিবার মধ্য হাইলাকান্দির রাজ্যশ্বপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইউডিএফের সভা। বিধায়ক জাকির হুসেন লস্কর ও নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন জনতা।
এ দিন রাতে রতনপুরে এক দল যুবক বিধায়ক জাকির হুসেনের কুশপুতুল পুড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। রতনপুরে কোন সভা করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
ভোটের মুখে এআইইউডিএফের বিধায়কদের এ রকম শোচনীয় পরিস্থিতি জনমনে যথেষ্ট কৌতূকেরও সৃষ্টি করেছে। আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ ইউডিএফকে প্রত্যাখান করছেন বলে সচেতন মহলের অভিমত।