বরাক তরঙ্গ, ২৩ নভেম্বর : রবিবার সকালে হঠাৎই অরুণাচল–মায়ান্মার আন্তর্জাতিক সীমান্তে অসম পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করলেন উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা (স্বাধীন)-এর শীর্ষ নেতা অরুণোদয় দহোটিয়া। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে উঠেছে নানান প্রশ্ন।
দীর্ঘ ২৮ বছরের সশস্ত্র লড়াই শেষে মায়ান্মার থেকে ভারতের মাটিতে ফিরে এলেন অরুণোদয়। অরুণাচলের পাংছাউ পাস এলাকায় সীমান্তের কাছেই তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আলফা (স্বাধীন)-এর নিম্ন সদনের সাধারণ সম্পাদক ও অর্থবিভাগের দায়িত্বে থাকা দহোটিয়া, যিনি সংগঠনে “অরুণোদয় অসম” নামে পরিচিত, তাঁর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছে তাঁর দেহরক্ষী ফ্রান্সিস অসমও।
১৯৯৭ সালে আলফায় যোগদান করেছিলেন শিবসাগরের ছাবুয়ার যুবক অরুণোদয় দহোটিয়া। তাঁর প্রকৃত নাম বিজিত গগৈ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা গোষ্ঠীর নেতারা গ্রেফতার হওয়ার পর ফেরত আনা হয় তাদের। সেই সময় পৃথক হয়ে পরেশ বরুয়ার গোষ্ঠীতেই থেকে যান অরুণোদয়।
তবে অরুণোদয়ের এই আত্মসমর্পণের পেছনে কি পরেশ বরুয়ার সম্মতি রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “পরেশ বরুয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া আলফা (স্বাধীন)-এর সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। তাঁর অনুপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও সম্ভব নয়।”


