আবর্জনা বহনে গতি আনতে অত্যাধুনিক মেশিন আনল শিলচর পুরসভা

বরাক তরঙ্গ, ২৩ জুন : সংগৃহীত আবর্জনা গ্রাউন্ডে ফেলার কাজে গতি আনতে অত্যাধুনিক “কমপেক্টর মেশিন” ও‌ “হুক লোডার মাউন্টেন ট্রাক”আনল শিলচর পুরসভা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৪৪ হাজার৫০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে এসব। রবিবার শহরের ট্রাঙ্ক রোডের পুরনো বিআরটিএফ ক্যাম্পাসে দুটি করে মেশিন ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ডেমোনস্ট্রেশন দেখলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী এবং উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম। এসবের সাহায্যে বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত আবর্জনা একসঙ্গে অনেকটা বেশি পরিমাণে পাঠানো সম্ভব হবে মেহেরপুরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে।

বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী জানান, পুরসভার মাধ্যমে দিল্লির একটি সংস্থা মান্ডি এন্টারপ্রাইজ মেশিনগুলি স্থাপন করেছে।   বিধায়ক জানান, অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টি ছোট ছোট ভ্যানে নিয়ে আসা আবর্জনা ধরার ক্ষমতা রয়েছে কম্প্যাক্টরের। আবর্জনা ভরে কম্প্যাক্টরের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর কম্প্যাক্টর মেশিনটিকে তুলে দেওয়া হবে লোডার ট্রাকের উপর। এ ভাবেই প্রতিদিন লোডার একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ আবর্জনা নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারবে ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে। দীপায়ন আরও বলেন গোটা উত্তরপূর্বের মধ্যে প্রথম এমন অত্যাধুনিক মেশিন এসেছে শিলচর পুরসভায়। এই মেশিনের আবর্জনা ধরার ক্ষমতা রয়েছে ১০ কিউবিক মিটার করে। আর বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহে পুরসভার উদ্যোগে যে ছোট ভ্যান গাড়িগুলি কেনা হয়েছিল সেইগুলির আবর্জনা ধরার ক্ষমতা ১ কিউবিক মিটার। ফলে এখন দুটি কম্প্যাক্টর মেশিন ২০ কিউবিক মিটার আবর্জনা একসঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে। আগে যেখানে বারবার নিয়ে যাওয়া হত।বিধায়ক আরও জানান আপাতত এই মেশিনের মাধ্যমে শহরের ১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের আবর্জনা পুরানো বিআরটিএফ ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে কম্প্যাক্টরে ভরে পাঠানো হবে মেহেরপুরে। এতে সময় প্রচুর সময় ও পরিশ্রম বেঁচে যাবে।

আবর্জনা বহনে গতি আনতে অত্যাধুনিক মেশিন আনল শিলচর পুরসভা

তাঁর কথায়, আগামী এক বছর মান্ডি এন্টারপ্রাইজ শিলচরে থেকে মেশিনগুলির মেন্টেনেন্স করবে। শিলচর পুরসভার কনজার্ভেন্সি বিভাগের এবং এনজিও নিযুক্ত কর্মীদের শিখিয়ে দেবে মেশিন চালানোর পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া। তিনি জানান, বিআরটিএফ ক্যাম্পাসের পর দ্বিতীয় দফায় একই ধরনের আরও দুটি মেশিন ও ট্রাক  বসানো হবে ফাটক বাজারে। এর পরবর্তীতে হাইলাকান্দি রোড ও সোনাই রোডে সরকারি জায়গা বের করে   বসানো হবে আরো চারটি কম্প্যাক্টর‌। সব মিলিয়ে শহরে না কম্প্যাক্টর বসানো‌হবে ৮ টি।

এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত। ছিলেন পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ভানলাল লিমপুইয়া নামপুই এবং অ্যাসিস্টিং অফিসার নবোত্তম শর্মা। 

Author

Spread the News