শিলাবৃষ্টিতে ফুটো শিলচর ডিএসএ-র ব্যাডমিন্টন ইন্ডোর
শিক্ষার্থী ও প্রবীণদের নিয়ে বেমালুম স্টেডিয়াম শাখা
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১ মে : শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যাডমিন্টন ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ছাউনি শিলাবৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ছাউনির একাধিক টিন ফুটো করে দিয়েছে শিলাবৃষ্টি। ফুটো এমনভাবে হয়েছে যে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিসের জন্য এখন দিনের বেলায় আর ইন্ডোরে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ছে না। সূর্যের প্রাকৃতিক আলোতে প্র্যাকটিস সম্ভব হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তবে দিনের খেলার কসরত সম্ভব হলেও বিকেলে বা সন্ধ্যা রাতে সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। কারন, সাম্প্রতিক বিকেল বা সন্ধ্যা রাত থেকে রুটিন মাফিক বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঝড় ইত্যাদি। এতে স্বাভাবিক ভাবে ইন্ডোরে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত ঘটছে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাতে প্র্যাকটিসের জন্য অর্থ দিয়ে ইন্ডোর ভাড়া করা প্রবীণদেরও অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় কিছু থাকে না । বিষয়টি নিয়ে নানা ইতিমধ্যে অনেকেই স্টেডিয়াম শাখার সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ঢিলেঢালা নীতিকে দায়ী করেছেন। এই শাখা দেখভাল করা যার উপর বর্তায় তিনি কে ? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ডিএসএ-র আনাচে কানাচে। সংশ্লিষ্ট সহ-সভাপতি শেষ কবে সংস্থায় এসেছিলেন সেটা কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। স্টেডিয়াম সচিবের আসা- যাওয়া নিয়মিত এই বিভাগে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে তাঁকেও ছেড়ে কথা বলছেন না অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের শিলাবৃষ্টিতে ইন্ডোরের ছাউনির বেশ কয়েকটি টিনের ক্ষতি সাধন হয়েছে । এজন্য বৃষ্টি হতেই ইন্ডোরের মেঝেতে বৃষ্টির জল জমা হয়। প্রায় চারদিক থেকেই বৃষ্টি জল পড়ে গড়িয়ে জমা হয় ইন্ডোরের মেঝেতে। তাছাড়া ইন্ডোরের মূল ফটক দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ছে। এতে তিনটি ব্যাডমিন্টন কোর্টে জলে দখল নিচ্ছে। আবার ইন্ডোর থেকে এই জল নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে জল নিজে থেকে ফুরিয়ে না যাওয়া অবধি অপেক্ষা অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রশিক্ষার্থী ও ভাড়া নেওয়া প্রবীনদের।
এব্যাপারে বুধবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সচিব অতনু ভট্টাচার্যের কাছে ফোনে বিষয়টি জানাতে চাইলে তিনি বলেন, গুয়াহাটি থেকে বুধবার মানুষ এসে তা দেখেছেন। ‘ডায়না’ -টিনগুলো বিশাল আকারের। তাই হুট করে কিছু করা যায়নি। এজন্য সময় লেগেছে। জানা গেছে, সংস্থার স্টেডিয়াম শাখা সচিব আশিস চক্রবর্তী নাকি জানিয়েছেন শীঘ্রই এই কাজে হাত পড়বে। পাল্টানো হবে কয়েকটি টিন।
প্রসঙ্গত, প্রশিক্ষার্থী এবং প্রবীনদের ব্যাডমিন্টন চর্চার জন্য মাসিক মোটা অঙ্কের ফি দিতে হয়। তারা যে কারণে ফি দেন, এই বোধটুকু কেমন যেন বেমালুম ভুলে গেছেন স্টেডিয়াম শাখা ও ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। তাই না হলে, এতো গড়িমসি কেন ? গত কয়েক দিনে জল শুকাচ্ছে না, ফলে ইন্ডোরে এসে অপেক্ষা করে বিনা প্র্যাকটিসে ফিরে যেতে হয়েছে একাংশ প্রবীনদের। শিক্ষার্থী ও প্রবীনরা জেলা তথা বরাকের মর্যাদাসম্পন্ন এক ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় প্রতিদিন এভাবে প্রতারিত হলেও সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়াম শাখা বা ডিএস এ-র কর্তাব্যাক্তিদের মর্যাদায় আচড় পড়ছে না।