শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ আশ্রমের শতায়ু বাবার প্রয়াণ, সহস্রাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সামানধিস্থ

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ নভেম্বর : বরাকের ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ আশ্রমের কর্তা বাবা আর নেই। সোমবার শেষরাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বাবা। এই শোক সংবাদ পাওয়া মাত্রেই ভোর বেলা থেকে আশ্রম প্রাঙ্গণ হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে শ্যামানন্দ বাবার মন্দির প্রাঙ্গনে উনার নশ্বর দেহটিকে সন্ন্যাসী ধারার মতে সামানধিস্থ করা হয়। এদিন উপস্থিত হয়ে কর্তা বাবার দেহটিকে সমাধিস্থ করার সময় শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক গণধীশানন্দজি মহারাজ উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিলচর শ্যামানন্দ বাবা বা সন্ন্যাসী বাবার আশ্রম এই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ মঠ ও মন্দির সহ আশ্রম গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ আশ্রম হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ বাবার দেহ রাখার পরবর্তী সময়ে এই কর্তা বাবা ও উনাকে কেউ কেউ মৌন বাবা হিসেবে ডেকে থাকেন, তিনি বয়স ২০ বছর থাকাকালীন এই আশ্রমে এসেছিলেন ও এই আশ্রমের সম্পূর্ণ দায়িত্ব উনার কাঁধে ছিল, কিন্তু তিনি যেদিন থেকে আশ্রম জীবনে প্রবেশ করেন সেদিন থেকেই তিনি আশ্রমের পেছনে থাকা একটা নিদ্দিষ্ট অন্ধকার ঘরে সুদীর্ঘ আশি বছর মৌনব্রত অবস্থায় ছিলেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করতেন না, আজীবন ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন ছিলেন।

শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ আশ্রমের শতায়ু বাবার প্রয়াণ, সহস্রাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সামানধিস্থ

এই অঞ্চলের একজন সিদ্ধ মহাপুরুষ হিসেবে পরিচিত, ভক্তদের যেকোনো পারিবারিক ও সাংসারিক সমস্যার নিরসনে মন্দিরে গিয়ে উনার উদ্দেশ্যে বলতেন ও পরবর্তী সময়ে সমস্যার পেতেন। আধ্যাত্মিক চেতনাস্বরূপ সন্ন্যাসী ছিলেন কর্তা বাবা। উনার দেহ রাখার সময় বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১০০ বছর। রেখে গেছেন মন্ত্র দীক্ষা ছাড়াই কয়েক হাজার- লক্ষ ভক্ত। আগামী দিনেও এই আশ্রম একই ধারায় চলে যাবে বলে জানান তিনি। আশ্রমের এক সূত্রে জানা যায়, শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ আশ্রমের শতায়ূ কর্তা বাবা বা মৌন বাবার নাম ছিল জীতেন্দ্র ব্রহ্মচারী।

শ্রীশ্রী শ্যামানন্দ আশ্রমের শতায়ু বাবার প্রয়াণ, সহস্রাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সামানধিস্থ

Author

Spread the News