অবাক কাণ্ড! হিউমপাইপ দিয়ে ভারতে, বিএসএফের হাতে আটক কিশোরী
১১ ডিসেম্বর : অবাক কাণ্ড! হিউমপাইপ দিয়ে ভারতে ঢুকল এক কিশোরী। তবে এপারে পৌঁছেও শেষরক্ষা হল না। বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশের ওই কিশোরী। তার এক আত্মীয়ের দাবি, চিকিৎসার জন্যই সে অবৈধভাবে এপারে এসেছিল। মেয়েটি একাই এসেছে, নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ রয়েছে তা অবশ্য ভাবাচ্ছে বিএসএফকে। কারণ বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে এক কিশোরীর একা এদেশে চলে আসাটা অবাক করার মতোই ঘটনা।
বাংলাদেশে শিশুশিল্পী হিসাবে সুনাম রয়েছে ওই কিশোরীর। এরাজ্যেও একবার অনুষ্ঠান করে গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার মধ্যরাতে চোপড়া থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এপারে আসতে গিয়ে বিএসএফের নজরে পড়ে যায় সে। ১৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের লক্ষ্মীপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ। পরে তাকে চোপড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ কিশোরীকে রাতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জের হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
কিশোরীর বাড়ি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায়। মেয়েটি কী উদ্দেশ্যে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকেছিল তা বিএসএফ এবং পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তার সঙ্গে অন্য আরও কেউ ছিলেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। লক্ষ্মীপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সে এপারে এল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য বিএসএফ ও পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এপারে থাকা কিশোরীর এক আত্মীয় অবশ্য বলছেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি। অনেকেই অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। সম্ভবত সে কারণেই তড়িঘড়ি কোনওভাবে এপারে আসার চেষ্টা করেছিল।’
কিশোরীর এক পিসি বলেন, ‘মেয়েটির বৈধ পাসপোর্ট আছে। চোখের চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। এর আগেও এখানে চোখের চিকিৎসা করিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতোই ও চেকআপে আসছিল। কিন্তু বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে ভিসা না পাওয়ায় আসতে পারছিল না। গায়িকা হিসাবে বাংলাদেশে তার ভালো নামডাক রয়েছে। এমনকি এপারেও শিশুশিল্পী হিসেবে একবার অনুষ্ঠান করে গিয়েছে।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।