রেলস্টেশনে অপমানিত, বিব্রত শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষ
বরাক তরঙ্গ, ৮ এপ্রিল : খেলোয়াড়দের রেলস্টেশনে স্বাগতম জানানো হলনা, উল্টো প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং-র ঝাঁজালো শাসানিতে বিব্রত হয়ে ফিরলেন শিলচর ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। অসম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী ইটখলা এসি-র ক্রিকেটারদের সাদর অভ্যর্থনা জানাতে মঙ্গলবার দুপুরে শিলচর রেল স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। কিন্তু খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা না জানিয়েই ফিরতে হল তাদের। দল যখন রেল স্টেশন থেকে বেড়িয়ে আসছিল তখন স্টেশনের বাইরে একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা।
ডিএসএ-র প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরী, দুই সহ সচিব দেবাশিস সোম ও অজয় রায়। সংবর্ধনা জানাতে তাঁরা খেলোয়াড়দের দিকে এগিয়ে যেতেই তাদের বাধা দেন ডিএসএ-র প্রাক্তন সচিব এবং ইটখলা ক্লাবের প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং। ডিএসএ-র সভাপতি বলে ওঠেন, ‘বিজয়ী দলকে অভ্যর্থনা জানানোর অধিকার কি আমাদের নেই ? বিজেন্দ্র পরিস্কার বলেদেন ‘না’। বলেন, ‘কেন না সেটা পরে জানাবো।’ এতে থমকে যান ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। এবং সংবর্ধনা জানানো থেকে বিরত থাকেন। পরে র্যালি স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলে ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে আমাদের। খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিতে কোনও সাধারণ লোক হয়ে এখানে আসিনি, এসেছি শিলচর ডিএসএ-র সভাপতি হিসেবে। ক্রীড়া জগতের একজন লোকের কাছ থেকে এধরণের আচরণ আশা করা যায় না। সঙ্গে থাকা সচিব অতনু ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব চৌধুরী, দেবাশিস সোম, অজয় রায়রা বলেন, ‘সভাপতিকে অপমান করা মানে, পুরো ডিএসএ-কেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।’
ইটখলা এসি -র প্রাক্তন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং-কে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় অভিভাবক সংস্থা হিসেবে ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এখানে অভ্যর্থনা জানাতে এলেন তারা।’ এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি বিজেন্দ্র। জানা গেছে, ব্যাপারটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ডিএসএ-র কর্মকর্তারা। আজই সন্ধ্যায় এনিয়ে জরুরি বৈঠকেও বসেছেন তাঁরা।
