শহিদ-ই-আজম ভগৎ সিঙের আত্মবলিদান দিবস পালন চার সংগঠনের
বরাক তরঙ্গ, ২৩ মার্চ : জেলাজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শহিদ-ই-আজম ভগৎ সিং রাজগুরু এবং সুখদেবের আত্মবলিদান দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় কাছাড় জেলায় এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস এবং কমসোমলের পক্ষ থেকে পালন করা হয়। শনিবার সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে শিলচরের শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে অস্থায়ী শহিদ বেদি ও শহিদদের পথিকৃতি স্থাপন করে মাল্যদান করেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, এআইএমএসএস এর রাজ্য কমিটির সহসভাপতি দুলালী গাঙ্গুলি, এআইডিএসও’র সর্বভারতীয় কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিল্লোল ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য পল্লব ভট্টাচার্য, এআইডিওয়াইও’র জেলা সভাপতি অঞ্জনকুমার চন্দ, জেলা কমিটির সদস্য দীলিপ রী, কৃষক সংগঠন এআইকেকেএমএস এর রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য প্রভাস চন্দ্র সরকার ও জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সজল কান্ত দাস প্রমুখ।
এছাড়াও কমসোমলের পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি ‘গার্ড অব ওনার’ প্রদর্শন করা হয়। ভগৎ সিং সহ তার সহ যোদ্ধাদের আত্মবলিদানের ইতিহাস ব্যখ্যা করে বক্তব্য রাখেন প্রভাস চন্দ্র সরকার, হিল্লোল ভট্টাচার্য ও দুলালী গাঙ্গুলি।
প্রভাস চন্দ্র সরকার বলেন ভগৎ সিং এর স্বপ্ন শুধু বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ থেকে স্বাধীনতা অর্জনই ছিল না। তিনি মহান মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদকে সঠিক উপলব্ধির ভিত্তিতে বলেছিলেন যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের মুল লক্ষ্য শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষের সর্বপ্রকার শোষণ থেকে মুক্তি। তিনি মাত্র ২৪ বৎসর বয়সে শহিদ হন অথচ এই অল্প বয়সেই বুঝতে পেরেছিলেন যে কংগ্রেস স্বাধীনতা চাইলেও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় না। তাই ভগৎ সিং, চন্দ্র শেখর আজাদ, আসফাকউল্লা খান, রামপ্রসাদ বিসমিল, বটুকেশ্বর দত্ত প্রমুখ গড়ে তুলেছিলেন হিন্দুস্থান স্যোসিয়েলিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন। যার উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লবের মাধ্যমে বৃটিশ সরকারের অবসান ঘটিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, ভগৎ সিং এর স্বপ্ন আজও অপূরিত। দেশ স্বাধীন হলেও তার ফল ভোগ করছে দেশের পুঁজিপতিরা। তাঁদের শোষণের যাঁতাকলে আজ সবাই পিষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও ধোয়ারবন্দ, তারাপুর, নতুনবাজার, দুধপাতিল সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক কমিটি গুলো মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করে।