সাত বছর আগের রূপ শহরের রাস্তাঘাটের, উন্নয়নের মুখ থুবড়ে পড়েছে
বরাক তরঙ্গ, সোমবার, ৩ জুন,
রাস্তাঘাটে শিলচর শহর সাত বছর আগের রূপ নিল। শিলচর শহরের প্রধান প্রধান সড়কই হোক আর গলিপথই হোক অবস্থা একই। বাহনের যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুকুর সম গর্ত। এতে যাতায়াত ও ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। ট্রাঙ্ক রোড (ইটখোলা পয়েন্ট), ক্যাপিটাল পয়েন্ট, সেন্ট্রাল রোড, হাসপাতাল রোড, রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্ট এই স্থান গুলো যেন এক মরণফাঁদে পরিণত। নির্বচানী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী এলে কিছুটা গর্তের বুক উঁচু করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন লাগাতার বৃষ্টিতে গর্তগুলো তার চেহারা দেখাতে শুরু করে। বর্তমানে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে সড়কজুড়ে রয়েছে।
অম্বিকাপট্টি পয়েন্ট থেকে হাসপাতাল রোডের একপাশ গর্তের দখলে রয়েছে। গর্তের দরুন বহু বাইক, ই-রিকশা, অটো আইন অমান্য করে ডিভাইডারের উল্টো দিকে রওয়ানা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সড়ক দখল করে থাকা গর্তগুলো বৃষ্টির জলে লুকিয়ে গেলে যাতায়াত দায় হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া একই পথে বারবার কুড়ায় আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে। একটি পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মাথায় আবার আরেক দফা কাজ শুরু হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কী অসুবিধা হচ্ছে, কী কী সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সে-সব নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনও মাথাব্যথা নেই। গোটা কাজকর্মে যদি পূর্ব পরিকল্পনা, সমন্বয় এবং উপযুক্ত তদারকি থাকত তাহলে নরক গুলজার করে তোলা হতো না, বাড়ত না নাগরিক যন্ত্রণা। এই আপন ইচ্ছেমতো কাজের দরুন শহরে আজ কী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, সে নিয়ে পর্যালোচনা করতেও প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক স্তরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। বেহাল পথের জন্য দুর্ঘটনা, যানজট, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজে যে ব্যাঘাত ঘটছে, তাতে নাগরিক উদ্বেগ বাড়লেও কর্তাব্যক্তিরা তা কানেই তুলছেন না। শহরটাকে কার্যত নরক গুলজার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ পথ নেই যেখানে যানজট হচ্ছে না। সামাজিক মাধ্যমে নাগরিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।