এক্সপ্রেস ট্রেনে অসংরক্ষিত কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবিতে সরব এআইডিওয়াইও

বরাক তরঙ্গ, ৯ মার্চ : প্রতিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে অসংরক্ষিত কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রতি শনিবার রাতে শিলচর-গুয়াহাটি যাত্রীরেল চালু সহ বিভিন্ন দাবিতে সরব হল অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশন। শনিবার এসব দাবি জানিয়ে শিলচর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মারফতে রেলমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করলেন সংগঠনের কাছাড় জেলার কর্মকর্তারা। তাঁরা স্মারকপত্রে এও দাবি জানান কোবিড পরিস্থিতির পূর্বে রেল যাত্রীদের জন্য যেসব সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হত বিশেষ করে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য তা পুনরায় চালু করা, রেলযাত্রীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে রেলওয়ে বিভাগের সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে এবং রেলের কোচ ও শৌচাগার নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। স্মারকপত্র প্রদানকালে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের কাছাড় জেলা সভাপতি অঞ্জনকুমার চন্দ, সমাজকর্মী যথাক্রমে ইউনিস আলি চৌধুরী, হানিফ আহমেদ বড়ভূইয়া, হিল্লোল ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা বলেন, রেলওয়ে বিভাগ ধীরে ধীরে যাত্রীরেলে অসংরক্ষিত কোচ ও স্লিপার ক্লাসের কোচের সংখ্যা কমিয়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে ফলে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় তাদের কাজের প্রয়োজনে দুরবর্তী বিভিন্ন রাজ্যে যেতে হয়। ফলে সারা বছর যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে কিন্তু রেলওয়ে মন্ত্রক তাদের যাতায়াতের জন্য কোন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে না। তাই দুরপাল্লার বেশির ভাগ ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা ওয়েটিং লিস্টের টিকেট কেটে স্লিপার ক্লাসের কোচের ঢুকে পড়েন, এতে সেসব কোচের যাত্রীদের সংখ্যা নিদির্ষ্ট আসনের দিগুণ, তিনগুণ হয়ে যায়। ফলে কনফার্ম টিকিটের যাত্রীরা বিশেষ করে যাদের চিকিৎসার জন্য বহিররাজ্য যেতে হয় তাদের প্রচন্ড অসুবিধা পোহাতে হয়। তাঁরা এও বলেন, বর্তমানে এও লক্ষ করা যাচ্ছে যে ‘বন্দে ভারত’ এর বেশি দামের টিকেট যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য নিয়মিত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম অবহেলা করা হচ্ছে।

এক্সপ্রেস ট্রেনে অসংরক্ষিত কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবিতে সরব এআইডিওয়াইও

এছাড়াও বরাক উপত্যকায় যে সব যাত্রীরেল চলাচল করে সেগুলোর কোচের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। আধুনিক মানের কোচের পরিবর্তে পুরোনো কামরা দেওয়া হয়। ফলে বহু কামরায় ফোনের চার্জার পয়েন্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় না, লাইট, ফেন ইত্যাদি অকেজো অবস্থায় থাকে এবং বর্ষার সময় বৃষ্টির জল ভেতরে চুইয়ে প্রবেশ করে। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো দাবি তাঁরা জানান।

Author

Spread the News