শিলচর ডিএসএ-র ঋষিকেশ ও শেফালিকণা স্মৃতি ক্রীড়া উৎসব সোমবার থেকে

ডিএসএ থেকে উধারবন্দ পর্যন্ত আশিষ কুমার রায় স্মৃতি  ম্যারাথন বুধবার____

ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : ঋষিকেশ ও শেফালিকণা স্মৃতি বাৎসরিক ক্রীড়া উৎসব শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। দুদিনের এই ক্রীড়া উৎসব চলবে এর পরদিনও। পাশাপাশি বুধবার হবে আশিসকুমার রায় স্মৃতি প্রাইজমানি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। রবিবার আয়োজক জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাংবাদিকদের ডেকে এসবের জানান দেন সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য, শাখা সচিব সত্যজিৎ দাস, স্পনসরার পরিবারের পক্ষে ড০ অনুপ কুমার রায় ও অংশুকুমার রায়। অ্যথলেটিক্সে ট্রফি সহ প্রথম ৩৫০, দ্বিতীয় ২৫০ ও তৃতীয় ১৫০ টাকা প্রাইজমানি। ম্যারাথনের প্রথম পুরস্কার পুরুষ ৬ হাজার টাকা, মহিলা ৫ হাজার টাকা। রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্যও প্রাইজমানি।
সংস্থার তুলসী দাস বণিক স্মৃতি সভাকক্ষে

এদিন সভাপতি বলেন, মাদার অব স্পোর্টস হচ্ছে অ্যাথলেটিক্স। কাজেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাৎসরিক ক্রীড়া উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু নানা কারণে সঠিক সময়ে এর আয়োজন সম্ভব হয়নি। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরে সচিব অতনু ভট্টাচার্য বলেন,  অ্যাথলেটিক্সের ১৬টি ইভেন্ট হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৫ টায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে পুরুষ ও মহিলাদের ম্যারাথন হবে। পুরুষদের ম্যারাথন রুট জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে উধারবন্দ পানগ্রাম পর্যন্ত। মহিলারা দৌঁড়বেন উধারবন্দ অবধি। ম্যারাথনের দিনই বিকেলে হবে গোটা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। যদি ডিএস এ-র মাঠ পাওয়া যায়, তাহলে সেখানেই হবে পুরস্কার বিতরণ। না হলে পার্শ্ববর্তী বিবাহ ভবনে পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। বলা বাহুল্য, খেল মহারণের জন্য বুধবার থেকে প্রশাসন মাঠ তাদের দখলে নিয়েছে।
স্পনসরার পরিবারের পক্ষে  আশিষ কুমার রায় আয়োজক জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এই উৎসব যেন ডিসেম্বর মাসে এগিয়ে যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন। এছাড়া যারা এই টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে আসবেন তাদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তাও দেখার অনুরোধ জানান। অপর স্পনসরার ড০ অনুপ কুমার রায়, ম্যারাথন দৌঁড় প্রতিযোগিতার দূরত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। পাশাপাশি ম্যারাথন প্রতিযোগিতার প্রতি একটু আলাদা নজর দেয়ার কথা বলেন। বলেন, এই প্রতিযোগিতা সবাই আয়োজন করেন না। এক অভিন্ন হিসেবে এর উন্নতিকল্পে চিন্তা করতে আহ্বান জানান অনুপবাবু। এছাড়া প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় অথবা রাজ্যস্তরের রেকর্ড যাতে প্রতিযোগীদের সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হয়। যাতে করে প্রতিযোগীরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হয় এবং এর উন্নতিতে কিছুটা হলেও চেষ্টায় ব্রতী হয়।

শাখা সচিব সত্যজিৎ দাস বলেন, খেল মহারণের জন্য এই উৎসব কিছুটা পিছিয়ে গেছে অ্যাথলেটিক্স। ম্যারাথন ইভেন্টের দূরত্ব আগামীতে বর্ধিত করা হবে। সম্মেলনে ম্যারাথনের রুট মাছুঘাট ও পাথরটিলা করার ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন সত্যজিৎ। পরে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিবেচনা করে তা বদল করা হয়। তবে ম্যারাথনে এ পর্যন্ত কতজন নাম লিখিয়েছেন তা জানাতে পারেননি সত্যজিৎবাবু।

Author

Spread the News