দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে সচেতনতা ও দায়িত্বের সমন্বয় প্রয়োজন

বরাক তরঙ্গ, ১৩ অক্টোবর, সোমবার,
র্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, শিল্পক্ষেত্রের দুর্ঘটনা, আগুনজনিত দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা প্রায়ই আমাদের সমাজে ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার অনেকটাই 방েয়যোগ্য, যদি আমরা যথাযথ সচেতনতা ও নিয়ম মানার অভ্যাস গড়ে তুলি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে।

সম্প্রতি কালাইনে নির্মীয়মাণ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই শ্রমিক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।  কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত, কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কল্যাণে কতটা উদাসীন ইত্যাদি বিষয় প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই ঘটনায়। নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব, অদক্ষ শ্রমিক বা মালিক পক্ষের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। চেন্নাইয়ে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অসমের নয়জন প্রাণ হারালেন। 

বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান আমাদের চমকে দেয়। ট্রাফিক নিয়ম না মানা, অতিরিক্ত গতি, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো ইত্যাদি কারণে প্রতিদিন অসংখ্য প্রাণ হারাচ্ছে।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা, কঠোর আইন প্রয়োগ, এবং নিয়মিত তদারকি। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে অফিস-আদালত পর্যন্ত নিরাপত্তা বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ চালু করা দরকার। গাড়িচালকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স নবায়নের সময় দক্ষতা যাচাই, ট্রাফিক নিয়ম মানার অভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি।

সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আমরা যতক্ষণ নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হব না, ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধ শুধু প্রশাসনের দায় নয়, এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। সচেতনতা, সতর্কতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

Spread the News
error: Content is protected !!