অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নে করিমগঞ্জ জেলা কমিটি পুনর্গঠন

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৩ মার্চ : করিমগঞ্জ জেলার পাঁচটি বিধানসভার প্রতিটি ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামের দেড়শতাধিক সদস্য ও প্রতিনিধি উপস্থিতিতে রবিবার মুল্লাগঞ্জর বাটইয়া কোরক বিকাশ বিদ্যাঙ্গনে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নে করিমগঞ্জ জেলা কমিটির এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠিত সভায় জেলা কমিটির সভাপতি নুমান আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শান্তনু দাস, সহসভাপতি টিংকু গুপ্ত, ছাড়াও ইউনিয়নের রাজ‍্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃনালকান্তি সোম, সহ-সভাপতি মানস দাস, উপদেষ্টা অরূপ বৈশ‍্য উপস্থিতিতে করিমগঞ্জ জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তার প্রতিবেদনে জানান যে আসাম বিল্ডিং ও অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ডের থেকে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা স্কলারশিপ সহ বিভিন্ন স্কিমের থেকে ইতিমধ্যে মোট ৬৫ লাখের বেশি আর্থিক অনুদান লাভে সক্ষম হয়েছেন। বিগত দিনের ইউনিয়নের বিভিন্ন সভা ও প্রতিবাদী কার্যসূচি রূপায়নের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন। সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা করে জিপি-ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি পুনর্গঠন ও সক্রিয় করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আজকের সভায় জেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

আধার কার্ডের জন্য অনেক লোকের রেশন বন্ধ হয়েছে, আয়ুষ্মান কার্ড পাচ্ছেন না, পিএম বিশ্মকর্মা প্রকল্পে আবেদন করা যাচ্ছে না, ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। আধার – এনআরসি সমস্যা নিয়ে আগামী ১৭ মার্চে শিলচরের গান্ধিভবনে অনুষ্টিতব‍্য নাগরিক কনভেনশনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রত‍্যেক জিপি থেকে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড বাতিল, কৃষকদের জন্য স্থানীয় সুপারি সহ সব ধরনের ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) আইন প্রণয়ন করা, শ্রমিক কৃষক বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ বন্ধ করা, ইত্যাদি দাবিতে সরব হন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে  প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় সভায়। প্রত‍্যেকেই বর্তমান সরকারকে শ্রমিক-কৃষক বিরোধী বলে মত ব‍্যক্ত করেন। অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন বর্তমান বিজেপি সরকারকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে দল বিজেপিকে হারাতে পারবে, সেই দলের পক্ষে ভোট দিতে ও প্রচার করতে সবাইকে আহ্বান জানাবে ইউনিয়ন। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সকল অঞ্চলের সদস‍্যদের মতামত বিবেচনা করে বিজেপি বিরোধী সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তাঁকে জেতানোর আহ্বান জানানো হবে। আপাতত বিজেপিকে হারানোর প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় সভায়। সরকার পরিবর্তন হলে শ্রমিক কৃষকের আন্দোলন বিকশিত হতে পারবে। আন্দোলনের উপর পুলিশি নির্যাতন কমবে বলে মত সকলের। আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কাজ চালাতে বাধ‍্য হবে নতুন সরকার।

আনবিক (টিংকু) গুপ্তকে সভাপতি, নুমান আহমেদ কে কার্যকরী সভাপতি, নুরুল ইসলাম কে উপসভাপতি, শিশির দে কে সম্পাদক, শান্তনু দাস ও কমরুল ইসলাম খান কে যুগ্ম সম্পাদক সহ মোট ৩০ সদস্য বিশিষ্ট নুতন জেলা কমিটি গঠিত হয়।

Author

Spread the News