ডিফোতে নিগৃহীত রেফারি আব্দুল মজিদ, পবন পাঠক

এএফএ-র নিষ্ক্রিয়তা, কালো ব্যাজ পরে খেলায় বাঁশি বাজানোর সিদ্ধান্ত_____

বরাক তরঙ্গ, ২২ ডিসেম্বর : কার্বি আংলং জেলা সদর ডিফুর স্টেডিয়ামে জাতীয় রেফারি আব্দুল মজিদ চৌধুরী ও সহকারী রেফারি পবন পাঠককে শারীরিকভাবে নিগ্রহ হয়েছেন। এই ঘটনার ৭ থেকে ৮ দিন গড়ালেও অসম ফুটবল সংস্থা (এএফএ)-র মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে অসম ফুটবল খেলা পরিচালক কল্যাণ সংস্থা প্রতিবাদী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সংস্থার সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার থেকে কালো ব্যাজ পরিধান করে খেলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন।

ডিফুর স্টেডিয়ামে এএফএ পরিচালিত অসম রাজ্য প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টের ডিফু মর্ণিং স্টার এফ সি এবং ইউনাইটেড চিরাংদোয়ার এফ সি-র মধ্যেকার ম্যাচে জাতীয় রেফারি আব্দুল মজিদ চৌধুরী ও পবন পাঠক নিগৃহীত হন। গত ১৩ ডিসেম্বর গঠনা সংগঠিত হয়। এর পর অসম রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা  নিজেদের উদ্যোগে কিছুই করেনি। বরং তাদের কাছে গত ১৫ ডিসেম্বর তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে এর সুবিচার দাবি করে রাজ্য রেফারি কল্যাণ সংস্থা। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া সহ খেলা পরিচালনার সময়ে রেফারিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি পেশ করেন সারা আসাম খেলা পরিচালক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি গৌতম কলিতা সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এ যাবৎ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় রেফারি কল্যাণ সংস্থা কালো ব্যাজ পরিয়ে মাঠে নামার প্রতিবাদী কর্মসুচি গ্রহণ করে।

ডিফোতে নিগৃহীত রেফারি আব্দুল মজিদ, পবন পাঠক

জাতীয় রেফারি নির্মল ভট্টাচার্য জানান, গত কয়েকদিন আগে তিনসুকিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহকারি সচিব অচ্যুত মরাণ রাজ্যের একমাত্র ফিফা রেফারি সুমন্ত দত্তকে নিয়েও কটোক্তি করেন। সামাজিক মাধ্যমে অসমের ফুটবল রেফারিদের নিয়েও বাজে মন্তব্য করেন। এরও কোন সুবিচার না মেলায় রেফারি সংস্থার সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য কালো ব্যাজ পরিধান করে খেলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।   আগামিতে এএফএ-র ম্যাচ বর্জন করার হুসিয়ারি দিয়েছেন।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।

Author

Spread the News