সাতকরাকান্দি ও রাঙ্গিরঘাট জিপিতে রেশন কার্ড বণ্টন
বরাক তরঙ্গ, ২২ জানুয়ারি : সোনাই ব্লকের সাতকরাকান্দি ও রাঙ্গিরঘাট জিপিতে গ্রাহকদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে নয়া রেশন কার্ড বণ্টন করলেন বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ভজন সেন। রবিবার সকালে আমজুরঘাট এলপি স্কুলে জিপির জনগনের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে রেশনকার্ড তুলে দিয়ে ভজনবাবু বলেন, গত বুধবার রাজ্যের সমবায় মীন ও আবাসন মন্ত্রী সোনাই ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়েকজন হিতাধিকারির হাতে নয়া রেশন কার্ড তুলে দেন। এরপর পর প্রতিটি জিপিতে তা বণ্টন শুরু করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিগত দিনে এক লক্ষ টাকার নিচে যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ছিল। সেসব পরিবারকে খাদ্য সুরক্ষার কার্ড দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বর্তমানে চার লক্ষ টাকায় বাড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে ৫ লক্ষের ও অধিক দুস্ত পরিবারকে খাদ্য সরক্ষার আওতায় এনেছেন। এরমধ্যে আমাদের সোনাইয়ে সাড়ে চার হাজারের অধিক পরিবারকে নতুন ভাবে খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এমন কি অবসরপ্রাপ্ত পেনশনধারী সরকারি কর্মীদের ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাঙ্গিরঘাট জিপিতে নয়া ভাবে ১৩৭ গ্রাহক সংযুক্ত করা হয়েছে। জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি তাহের আহমেদ বড়ভূইয়া পৌরহিত্যে আয়েলোজিত সভায় তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমবাসীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় সোনাইবাসীকে সামিল হওয়ার জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি নতুনরামনগর মণ্ডলের সভাপতি লায়ম্বা সিংহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জনগণের কল্যাণে হিমন্ত সরকারের জনমুখী কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।অনুষ্ঠানে জিপি সচিব মিফতাউল মজুমদার সহ জিপির ওয়ার্ড সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দুপুরে সাতকরাকান্দি জিপিতেও রেশনকার্ড বণ্টন করা হয়। জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি রিবুল হোসেন বড়ভূইয়ার পৌরহিত্যে আয়োজিত সভায় জিপি সচিব মিফতাউল ইসলাম মজুমদার জানান জিপিতে নয়া ২০৭ টি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এরপর ও বাদবাকি বঞ্চিত পরিবারগুলোকে দ্বিতীয় পর্য্যায়ে খাদ্য সুরক্ষায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
বিজেপি মণ্ডল কমিটির সভাপতি ভজনবাবু জানান, হিমন্ত সরকার কাছাড় জেলায় নতুনভাবে ৫ লক্ষ ১২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। গত জুন মাসের পুর্বে যারা জিপি অফিসে আবেদন করেছিলোন। তাদের খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনার জন্য স্থানীয় বিডিও, সার্কল অফিসার সহ স্কুটুনি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটিতে আমরা জাতপাতের উর্ধে উঠে পরিবার গুলোকে চিহ্নিত করে নতুন হিতাধিকারি তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছিল। এরপর এখন যারা বঞ্চিত হয়েছেন আগামীতে তাদের কে খাদ্য সুরক্ষায় আনা হবে। সরকারের এই অগ্রযাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাতকরাকান্দি হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন লস্কর জিপির ওয়ার্ড সদস্য সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক : নিপ্পু লস্কর, সোনাই।