বীরাঙ্গনা কনকলতার জন্ম শতবাৰ্ষিকী উপলক্ষে গুয়াহাটিতে সমাবেশ
বরাক তরঙ্গ, ১৩ ডিসেম্বর : স্বাধীনতা আন্দোলনের অমর শহিদ বীরাঙ্গনা কনকলতার জন্ম শতবাৰ্ষিকী উপলক্ষে গুয়াহাটির লক্ষীরাম বরুয়া সদনে কিশোর-কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ১১-৩০ টায় একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্ৰা দীঘলীপুখুরীর চারদিক পরিক্ৰমা করে। কিশোর -কিশোরীরা “শহিদ কনকলতা অমর রহ, শহীদ কনকলতার আদৰ্শে নিজেকে গড়ে তুলুন, শহিদ কনকলতার অপূরিত স্বপ্ন পূরণের সংগ্ৰামে নিজেকে নিয়োজিত কর” ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখৰ্রিত করে তোলে। এই শোভাযাত্ৰা দেখে পথচারীদেরও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায় যা অভূতপূৰ্ব।
শোভাযাত্ৰা শেষে লক্ষীরাম বরুয়া সদন প্ৰাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে শহীদ কনকলতার প্ৰতিকৃতিতে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন এস ইউ সি আই (সি) দলের রাজ্য সম্পাদক ও কেন্দ্ৰীয় কমিটির সদস্য চন্দ্ৰলেখা দাস। গাৰ্ড অফ অনার প্ৰদৰ্শন করে কমসোমল এর সদস্য সদস্যরা।
কমসোমলের রাজ্য কমিটির আহ্বায়কদ্বয়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে গাৰ্গী বড়ো কাকতি। আলোচনা সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জননেত্ৰী চন্দ্ৰলেখা দাস। তিনি বলেন, আজ পাঠ্যপুস্তকে কনকলতা, ভগৎ সিং, নেতাজি সুভাষচন্দ্ৰ বসু, কুশল কোঁওর এর জীবন-সংগ্ৰামের কোনো উল্লেখ নেই। তাঁরা বৃটিশ সাম্ৰাজ্যবাদের শাসন-শোষন থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে জীবন-যৌবন বলিদান দিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। এই বীরত্বপূৰ্ণ আত্মবলিদানের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হ’লেও দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের শোষণমুক্তি ঘটেনি। মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যয় বৃদ্ধি, বেকারত্ব ইত্যাদি সমস্যয় সাধারণ মানুষ জৰ্জরিত হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া ছাত্ৰছাত্ৰীদের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে মদ-মাদক, অশ্লীলতা- অপসংস্কৃতির ব্যাপক প্ৰসার ঘঠানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শহিদ কনকলতার মতো স্বাধীনতা আন্দোলনের অমর দেশপ্ৰেমিকদের জীবন সংগ্ৰামের চৰ্চাই নবপ্ৰজন্মকে সত্যানুসন্ধানী, নিৰ্ভীক, দেশপ্ৰেমিক হতে উৎসাহিত করবে। তিনি উপস্থিত ছাত্ৰছাত্ৰীকে প্ৰকৃত মানুষ হত্তয়ার সাধনাত নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি নিজের বন্ধু-বান্ধবী, ভাই-বোনকে বর্তমান যুগের প্ৰকৃত দেশপ্ৰেমিক চরিত্র অর্জনে অনুপ্ৰাণিত করতে আহ্বান জানান। আলোচনা সভার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ছাত্ৰছাত্ৰীরা দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করে।