রাধামাধব জিউ আখড়ায় ৫-৯ আগস্ট পাঁচ দিবসীয় ঝুলন যাত্রা উৎসব
বরাক তরঙ্গ, ৩ আগস্ট : শিলচর বিলপারের ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী রাধামাধব জিউ আখড়ায় ৫ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিবসীয় ঝুলন যাত্রা উৎসব, চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিবছরের ন্যায় এবারের ঝুলন উৎসবে থাকছে ভক্তিমূলক গান, সঙ্গীতালেখ্য, নৃত্যনাট্য, ঝুলন গান ইত্যাদি।
পাঁচ দিবসীয় ঝুলন যাত্রা উৎসবের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউ আখড়ার সেবাইত অংশু কুমার রায় জানান, ১২৪৩ বাংলায় (১৮৩৬ ইং) রাধামাধব আখড়া স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ঝুলন যাত্রা চলে আসছে। তিনি বলেন উৎসবের মুহুর্তে রাধামাধবের যে পোশাক পরানো হয় তা পাঁচ দিন পাঁচটা থিমের উপর নির্ভর করে। প্রথম দিন ‘রাধাকুণ্ডে সুবল বেশে রাই মিলন’, দ্বিতীয় দিন ‘যমুনা পুলিনে গোষ্ঠ বিহার’, তৃতীয় দিন ‘নিকুঞ্জে রাই রাজা’, চতুর্থ দিন ‘লবঙ্গ কুঞ্জে নটবর বেশ’ এবং পঞ্চম দিন অর্থাৎ অনুষ্ঠানের শেষ দিনের থিম হচ্ছে ‘রাজ বেশ’। সেবাইত অংশু কুমার রায় আরও বলেন এবারের উৎসবে প্রত্যেক দিন নানা ধরণের কীর্তন, ঝুলন গান, নৃত্যনাট্য, সঙ্গীতালেখ্য পরিবেশিত হবে। তিনি বলেন মঙ্গলবার কার্য্যসূচীর প্রথম দিনের কার্য্যসূচীর মধ্যে রয়েছে মনোরঞ্জন মালাকার ও সহ শিল্পীদের পরিবেশিত ঝুলন গান। বুধবার দ্বিতীয় দিন উত্তমাসা আর্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিবেশিত হবে সঙ্গীতালেখ্য, শিল্পী হিসাবে থাকবেন প্রদীপ আচার্য্য ও সহ-শিল্পীরা। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে মণিমালা নৃত্য শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত কীর্তনাঙ্গীক অনুষ্ঠান, এতে শিল্পী হিসাবে থাকবেন তথাগত দাস ও সহ-শিল্পীরা।
শুক্রবার সাই সঙ্গীতালয় পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসাবে থাকবেন মেঘা দাস ও অন্যান্যরা। উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট শনিবার বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে পুষ্পাঙ্গণ সঙ্গীত কলাকেন্দ্র পরিচালিত কীর্তনাঙ্গীক নৃত্যানুষ্ঠান, এতে শিল্পী হিসাবে থাকবেন উৎপল বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। প্রতিদিন রাতে থাকবে ঝুলন গান, সঙ্গীতালেখ্য ও ভক্তিমূলক নৃত্যানুষ্ঠানের আসর, জানান অংশু বাবু।
এদিকে, শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউ আখড়ার সেবাইত অংশু কুমার রায় জানান ঝুলন উৎসব তাদের পরম্পরাগত একটা উৎসব এবং সেই ধারা অব্যাহত রেখে প্রতি বছর তারা ঝুলন উৎসব পালন করে আসছেন । ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউ আখড়ার সেবাইত হিসাবে তিনি পাঁচ দিবসীয় অনুষ্ঠানকে সফল রূপ দিতে আপামর ভক্তপ্রাণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেছেন এবং প্রতিদিন অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।