পানপট্টি এপিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
বরাক তরঙ্গ, ২০ ডিসেম্বর : অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে বুধবার শিলচরের পানপট্টিস্থিত এপিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্ৰদৰ্শন করে এসডিই এর নিকট স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। স্মারকপত্র প্রদানকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক অজয় রায়, সঞ্জীব রায়, রঞ্জিত চৌধুরী, ভবতোষ চক্রবর্তী, চাম্পালাল দাস, হিল্লোল ভট্টাচার্য, জয় দাসগুপ্ত, অরিন্দম দেব, হানিফ আহমেদ বড়ভূইয়া, ইউনিশ আলি চৌধুরী, জহর মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এসডিই-কে জানান স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের পর গ্ৰাহকদের বিল আগের চেয়ে বেশি আসছে।
তারা বলেন সরকার পরিকল্পিতভাবেই বিদ্যুৎ খণ্ডের বেসরকারিকরণের পথ সুগম করতে প্রিপেড ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতে গ্রাহকদের কষ্টার্জিত টাকা লুঠ করতে সহায়ক হবে। জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রাণের বিনিময়ে গোটা দেশে যে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে তা আদানি-আম্বানীদের হাতে তুলে দিতে করোনা কালের মধ্যেই কেন্দ্র সরকার সংসদে আলোচনা না করে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় প্রিপেইড স্মার্ট মিটার চালুর নির্দেশিকা জারি করে। এই নির্দেশিকা সংসদে গৃহীত অতীতের সমস্ত বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী। এই নির্দেশিকা বিদ্যুৎ খণ্ডের পরিষেবা প্রদানের সুযোগ তুলে দিতে জারি হয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে বিদ্যুৎ খন্ডের যে ভূমিকা ছিল তা ভবিষ্যতে আর থাকবে না। সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হবে। কর্পোরেটদের মুনাফা লুটার মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিনত হবে এই ব্যবস্থা। তাই এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে শক্তিশালী গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে সবার প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও আগামী ২৯ ডিসেম্বর গুয়াহাটির লক্ষীধর বরা ক্ষেত্রে গ্রাহকদের রাজ্য ভিত্তিক সমাবেশ সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে আবেদন জানানো হয়।