পীর সন্তান সৈয়দ আব্দুল জলিল প্রয়াত, জানাজা মঙ্গলবার

বরাক তরঙ্গ, ৪ ডিসেম্বর : পরপারে পাড়ি দিলেন বরাক উপত্যকার সর্বজন পরিচিত ব‍্যক্তিত্ব মীরাবাড়ি দারুল কিরাত কেন্দ্রের সম্পাদক মীরাবাড়ি পীর সাহেবের ছেলে দারুল কিরাত মাজিদিয়া সমিতির মুখ্য পৃষ্টপোষক সৈয়দ কারি আব্দুল জলিল। তাঁর প্রয়ানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বরাক উপত্যকার উলামা সমাজ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। অত্যন্ত মৃদুভাষী ও ভাবুক প্রকৃতির ইসলামিক এই ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে শোকের আবহ তেরী হয়েছে বৃহত্তর নিলামবাজারে।

সোমবরার সন্ধ্যা ৫-১০ মিনিটে আলমখানীর-মীরাবাড়ি সাহেববাড়ির বাসভবনেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মঙ্গলবার ২ টা ৩০ মিনিটে বরাক উপত্যকার ঐতিহ্যবাহী সুন্নি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মীরাবাড়ি মাদ্রাসার মাঠে প্রয়াতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রয়াতের কনিষ্ঠ ভাই মীরাবাড়ি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মওলানা ডক্টর আব্দুন নুর।

পীর সন্তান সৈয়দ আব্দুল জলিল প্রয়াত, জানাজা মঙ্গলবার

পরিবারিক সূত্রে জানাগেছে , গত দু’মাস আগে পবিত্র মক্কা-মদিনায় সফর করে ওমরা পালন করার সময়েই প্রথম অসুস্থতা অনুভব করেন। ওমরার যাবতীয় কাজকর্মে সেরে মদিনায় পৌছার পর বুকে ব্যাথা অনুভব করলেও প্রাথমিক অবস্থায় বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি, তখনকার সময় মদিনা জিয়ারতের তৃপ্তি বুকের ব্যাথা ভুলে যান হাজি সৈয়দ আব্দুল জলিল। দেশে ফেরার পথে আরেক দফা বুকে ব্যাথা অনুভব হলে বাড়িতে পৌছার আরও কয়েকদিন পর অনুমানিক কুড়িদিন আগে নিলামবাজার হাসপাতালে চিকিৎসকদের দারস্থ হলে সেখানকার ডাক্তার তাকে শিলচরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসকের দারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিলে ভর্তি হলে শিলচরের একটি অভিজাত হাসপাতালে। সেখান কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে নেওয়া হয় অন্য একটি হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষার নিরীক্ষার পরে ধরা পড়ে হৃদযন্ত্রের দুটি স্থানে ব্লক রয়েছে। জরুরীকালীন অপারেশন করা হয় সেখানে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গত শনিবার রাতে বাড়িতে পৌছে মোটামোটি সুস্থ ছিলেন। আজ বিকালে তাঁর সুস্থতার জন্য আলীম-উলামারা মিলিত হয়ে বিশেষ মোনাজাত করেন। সবার সঙ্গে কথাও বলেন তিনি, মাগরিবের নামাজ আদায় করে তসবিহ পড়ছিলেন ঠিক এই সময়ে হঠাৎ করে অসুস্থতা অনুভব করলে পরিবারের লোকজন কাছে পৌছালে তখনও কথা বলেন এবং তাকে শুইয়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন মীরাবাড়ির পীর সন্তান সৈয়দ কারি আব্দুল জলিল। তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই ছেলে, চার মেয়ে সহ আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণমুগ্ধদের।

Author

Spread the News