দুই শিশুকে হত্যা করে মাংস খেল, দিল দরগায়ও, উদ্ধার এক শিশু
১৫ ডিসেম্বর : একের পর এক শিশুকে অপহরণ করে তাদের হত্যা করে মাংস খেত। এখানেই শেষ নয়, শিশুদেহের সেই মাংস রান্না করে স্থানীয় দরগাতেও নাকি বিতরণ করত। বৃহস্পতিবার এই ভয়াবহ অভিযোগে পাক পঞ্জাবের মুজাফফরগড়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিশ। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিন পাঁচেক আগে, মুজাফফরগড়ের খান গড় এলাকা থেকে তিন শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তাদের খোঁজ করতে গিয়েই এই বিকৃতমনস্ক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
নিখোঁজ তিন শিশুকে অভিযুক্ত ব্যক্তিই অপহরণ করেছিল বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের। ওই তিন শিশুর মধ্যে দুজনকে সে নৃশংসভাবে হত্যা করে, তাদের মাংস খেয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, আলি হাসান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে পুলিশ অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই ব্যক্তি সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আলি হাসান জীবিত থাকলেও ভয়ঙ্কর আতঙ্কে রয়েছে। সে জানিয়েছে, তার সামনেই তার ভাই আবদুল্লা এবং তার বোন হাফসাকে খুন করেছে এবং তাদের দেহ কেটে সেই রান্না করে খেয়েছে। আবদুল্লার বয়স ছিল তিন, আর হাফসার দেড় বছর।
পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুদের মেরে তাদের মাংস ওই ব্যক্তি শুধু নিজেই খায়নি, মুজাফফরগড়ের একটি স্থানীয় দরগাতেও সেই মাংস বিতরণ করেছিল। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর, মুজাফফরগড় পুলিশ সংলগ্ন এক ক্ষেত থেকে আবদুল্লার দেহাবশেষ এবং তাদের হত্যা করতে ও দেহ কাটতে যে ছুরিটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি উদ্ধার করেছে। তবে, হাফসার দেহের কোনও চিহ্ন এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তার জন্য তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে। খবর : tv9 bangla