জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনার পর রহস্যময় পরিবেশ, লুকানো হল নম্বর প্লেট
বরাক তরঙ্গ, ২১ জানুয়ারি : জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনার পর রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে ৩০৬ নম্বর শিলচর-আইজল জাতীয় সড়কের কাবুগঞ্জ জনতা কলেজের সামনে এএস ১১ইসি ১৮৭৯ ওয়েল ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনায় পাল্টি খেয়ে সড়কের পাশে গড়িয়ে পড়ে। শিলচরের দিক থেকে মিজোরাম অভিমুখে যাচ্ছিলো ট্য়াঙ্কারটি। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় মানুষ পৌঁছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির ভেতর থেকে আহত চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান একটি পক্ষ, তারা গাড়ি থেকে গড়িয়ে পড়া জ্বালানি বাল্টি দেয়ে সংগ্রহ করতে শুরু করেন। দুর্ঘটনার খবরে এরমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, জ্বালানিবাহী গাড়িতে আগুন ধরে না যায় সেই সতর্কতা অবলম্বন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে রাখা হয় একটি দমকল ইঞ্জিনও। ঘটনার খবরে সংবাদ সংগ্রহ করতে পৌঁছান কয়েকজন সংবাদকর্মীও। সংবাদকর্মীরা ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। গাড়িটি দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৎপর পক্ষ ছবি সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দেন। এতে সৃষ্টি হয় রহস্যের। একপর্যায়ে দেখা যায় গাড়ির নম্বর লুকানোর চেষ্টা করছেন তারা। বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় দুর্ঘটনা গ্রস্থ গাড়িটির নম্বর। এতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। বস্তা দিয়ে গাড়ি নম্বর ঢেকে দিয়ে গাড়িটি টেনে তোলার তোড়জোড় শুরু হয়।
ভারত মালা প্রকল্পের একটি ক্রেন লাগিয়ে গাড়িটি তোলার আগে খুলে নেওয়া হয় গাড়িটির উভয় দিকে লাগানো নম্বর প্লেট গুলো। স্থানীয়দের সন্দেহ অসমের জন্য বরাদ্দ জ্বালানি চোরাই পথে ট্য়াঙ্কারে ভরে মায়ানমারে পাচার হচ্ছিল না তো? কেননা যুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমার এই মুহূর্তে প্রচুর জ্বালানি সংকটে রয়েছে। চুরা পথে অসম সহ মিজোরামের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে শ’শ বেরেল তেল প্রতিদিন পাচার হচ্ছে মায়ানমারে। অনেকেই এমনও সন্দেহ করছেন গাড়িতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মদ বোঝাই থাকতে পারে। কেননা মিজোরামে মদ নিষিদ্ধ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ধলাই থানার অফিসার ইনচার্জ জনপান বে-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি যাবতীয় রহস্য উড়িয়ে দিয়ে জ্বালানি ভর্তি দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কার গাড়িটি তাদের হেফাজতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।