বরাক তরঙ্গ, ১৪ ডিসেম্বর : বহনক্ষম উন্নয়নের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি), শিলচর আবারও নিজের অগ্রণী ভূমিকা প্রমাণ করেছে। সবুজ পরিকাঠামো, সৌর শক্তি ও টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সদ্য প্রকাশিত ইউআই গ্রিনমেট্রিক র্যাঙ্কিং ২০২৫-এ এনআইটি শিলচর বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১৯১তম স্থান এবং ভারতের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
এছাড়াও, শক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন—এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এনআইটি শিলচর দেশজুড়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে বিশেষ গৌরব অর্জন করেছে। টেকসই উন্নয়ন, সবুজ পরিকাঠামো নির্মাণ, শক্তি-দক্ষ প্রযুক্তির ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার ফলেই এই সাফল্য এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
এনআইটি শিলচরের ডিটেক্টর অধ্যাপক ড. দিলীপ বৈদ্য জানান, প্রতিষ্ঠানটি মূলত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। তিনি আরও বলেন, সমগ্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। ক্যাম্পাসের ভেতরে ছোট ছোট জলাশয় রয়েছে, যেখান থেকে জল সংরক্ষণ করা হয়। বর্জ্য নিষ্কাশনের ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং বর্জ্য থেকে সার প্রস্তুত করা হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গ্রিনমেট্রিক র্যাঙ্কিং ২০২৫-এ ভারতের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জনের পেছনে অধ্যাপক, ছাত্র ও ছাত্রী—সবার সম্মিলিত অবদান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই র্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজেদের অবস্থান মূল্যায়নের সুযোগ করে দেওয়া। এর মাধ্যমে শক্তি ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবহণ ব্যবস্থা এবং জলসম্পদের কার্যকর ব্যবহারের মতো ক্ষেত্রে উন্নতির দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।
এই উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অগ্রণী ভূমিকা আরও শক্তিশালী করা। সামগ্রিকভাবে, গ্রিনমেট্রিক র্যাঙ্কিং ২০২৫ শুধু একটি র্যাঙ্কিং তালিকাই নয়, বরং এটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি দায়িত্বশীল নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে, যা পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


