সাংসদ রকিবুলকে রাজপথে আক্রমণ, শূন্যে গুলি
বরাক তরঙ্গ, ২০ ফেব্রুয়ারি : ধুবড়ির সাংসদ রকিবুল হোসেনকে রাজপথে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আক্রমণ করা হয়। রকিবুল হোসেন রুপহিহাটের গুণাবাড়িতে একটি সভায় গিয়েছিলেন। হামলার সময় সাংসদ রকিবুল হোসেনের সঙ্গে ছেলে তানজিল হুসেনও ছিলেন। বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে রূপহিহাটে। স্কুটি করে যাওয়ার পথে সাংসদকে আক্রমণ করা হয়। রকিবুল হোসেনের পাশাপাশি তাঁর দেহরক্ষীকেও আক্রমণ করা হয়। হামলাকারীর হাত থেকে পালানোর জন্য রকিবুল হোসেন স্কুটির উপর থেকে রাস্তায় পড়ে যান। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেন সাংসদ। দশজনের একটি দল রকিবুল হোসেনকে তাঁর ছেলে তানজিল হোসেন সহ আগভেতি গো-ব্যাক মুর্দাবাদের মতো স্লোগান দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। দুই ব্যক্তি সাংসদ রকিবুল হোসেনকে ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে আক্রমণ করতেও ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আক্রমনে একজন দেহরক্ষী পলায়ন করতে বাধ্য হয়। অন্য দেহরক্ষী পরিস্থিতি বিষম দেখে শূন্যে গুলি চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে নগাঁও পুলিশসুপার স্বপ্ননীল ডেকা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
রকিবুল হোসেন বলেন, তাঁকে জীবন্ত হত্যা করতে চাইছিল। নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলার জন্য আমাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কিছু দুষ্কৃতীকে আমাকে টার্গেট করার জন্য এটি ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার নগাঁওর রূপহিহাটে হামলার শিকার হওয়ার পর, সাংসদ রকিবুল হোসেন এক জনসভায় বিজেপির উত্থাপন করে খোলাখুলিভাবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানান।
এ দিন স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া রকিবুল পরে রূপহিহাটে একটি জনসভায় যোগ দেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই নগাঁওর পুলিশ সুপার এবং রূপহিহাটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছিল। তাঁদের পরবর্তী সময়ে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংসদ রকিবুল হুসেন।

সাংসদ আরও বলেন, হামলায় জড়িতদের তিনি চেনেন এবং তিনি ভয় পেয়ে পালিয়ে যাননি। সম্প্রতি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নিরাপত্তা হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতিদিন নতুন মামলা দায়ের করে রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকতে চান।

এ দিকে, ধুবড়ির সাংসদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্ৰদৰ্শন করল ধুবড়ি জেলায় কংগ্রেস।