ইমরান হোসেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন বিধায়ক, শোক বিভিন্ন মহলের

রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : তরুণ রাজনৈতিক নেতা ইমরান হোসেনের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ধলাইজুড়ে। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় শিবিরেই গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রের নেতৃবৃন্দ প্রয়াতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটে গেছেন বাড়িতে। সংবাদ শোনার পরই ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস ও বিজেপির সকল স্তরের কর্মীরা প্রয়াত নেতার বাড়িতে উপস্থিত হন। ধলাইয়ের বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস বাড়িতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ইমরানকে একজন প্রখর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, অল্প সময়েই তিনি ধলাইয়ের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আমাকে মুগ্ধ করেছিল।

অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থ ইমরানের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইমরানের মতো তরুণ ও সম্ভাবনাময় নেতার চলে যাওয়া রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করল।

প্রয়াতের বাড়িতে শোক জানাতে উপস্থিত ছিলেন—সঞ্জয় কৈরী (ভারতীয় জনতা পার্টি, নরসিংহপুর মণ্ডল সভাপতি), নির্মল কান্তি দাস (ধলাই-নরসিংহপুর আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সভাপতি), জালাল আহমেদ মজুমদার (অসম প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য ও শিলচর জেলা কংগ্রেসের উপ-সভাপতি), সাবির আহমেদ চৌধুরী (সোনাই মাধব চন্দ্র দাস কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ), শামসুল হক বড়ভূইয়া (বাম বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ), সিতাংশু দাস (মাতৃভূমি সামাজিক সংস্থার সভাপতি), জাহান উদ্দিন লস্কর (সহকারী শিক্ষক), টিটু লস্কর (রাজনগর-খুলিছড়া এপি পঞ্চায়েত সদস্য), খাইরুল আমিন লস্কর (বিজেপি নরসিংহপুর মণ্ডলের মাইনোরিটি সম্পাদক), রাজেন পালিত (কংগ্রেস নেতা), রইস উদ্দিন মজুমদার (জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এপি সদস্য),
লবঙ্গ দাস (জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি),
শামসুল হক মজুমদার (সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি)
এমএফ শামসুল হক লস্কর (ভাগাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি), তৈবুর রহমান মজুমদার (কংগ্রেস নেতা), অমলেন্দু দাস (বজরং দল), প্রীতম নাথ (বজরং দল), ধলাই প্রেসক্লাবের সকল স্তরের কর্মকর্তা সবাই শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

ইমরান হোসেন ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মানুষের অনুরোধে তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং জিপি সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু অসম্পূর্ণ রয়ে গেল তাঁর অনেক স্বপ্ন, আর রেখে গেল অসংখ্য মানুষের চোখে জল ও হৃদয়ে শূন্যতা।

Spread the News
error: Content is protected !!