মিজোরামে ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, ধলাইয়ের ২
বরাক তরঙ্গ, ২৯ মে : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মিজোরামে ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯। বুধবার আরও ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরমধ্যে কাছাড় জেলার দুই শ্রমিক বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন দক্ষিণ ধলাই এলাকার চান্নিঘাট জিপির ফ্রেঞ্চনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ রায় ও লায়লাপুরের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন লস্করের। প্রদীপ ও ইসলাম উদ্দিন একই পাথর কোয়ারিতে দিনমজুরের কাজ করছিলেন।
দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে সীমান্তবর্তী লায়লাপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে রওয়ানা হন উভয়ের পরিবার। প্রদীপের দেহ সনাক্ত করেন তার নিকট আত্মীয়রা। প্রদীপের দেহ সনাক্ত হলেও ইসলাম উদ্দিনের দেহ সনাক্ত হয়নি এখনও। পরবর্তীতে মিজোরামে ময়নাতদন্তের পর প্রদীপের মৃতদেহ পৌছায় বাড়িতে। দিনমজুর প্রদীপের দেহ বাড়িতে পৌছাতেই কান্নার রোল উঠে। হত দরিদ্র প্রদীপের রয়েছেন স্ত্রী সহ ১৪ দিনের একটি শিশু সহ চারটি শিশু সন্তান। যাদের মধ্যে দুইজন জন্ম লগ্ন থেকে শারীরিক বিকলাঙ্গ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মৃত্যু ঘটায় সম্পূর্ণ অসহায় হয়েছে পড়ে পরিবারটি। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করবে সে সামর্থ টুকুও নেই তাদের। পরবর্তীতে স্থানীয় মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্মায়ন সংস্থার সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা সংগ্রহ করে দেহ বাড়িতে নিয়ে এসে শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করেন। হত দরিদ্র পরিবারটিকে সরকারি আর্থিক সাহায্য করার দাবি জানান কর্মায়ন সংস্থার সভাপতি কুটন দে সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল প্রায় ছয়টা নাগাদ রাজধানী আইজলের পার্শ্ববর্তী মেলথুম এবং হ্লিমেন সীমান্তে তিনটি ঘর সহ একটি পাথর খাদান ধস নামে।