কচুদরম বাজারে প্রিপেড স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে সভা
বরাক তরঙ্গ, ৪ সেপ্টেম্বর : সোনাই কচুদরম বাজারে প্রিপেড স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় যুব নেতা ও সংগঠক সাহিন লস্করের সভাপতিত্বে পরিচালিত সভায় বক্তব্য কচুদরম এলাকার বিশিষ্ট জনেরা যথাক্রমে প্রাক্তন এপি সদস্য কাদির লস্কর, মইনুল হক চৌধুরী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আইনুল হক মজুমদার, আসন লস্কর, আলি হোসেন লস্কর, সাবনাজ বড়ভূইয়া, জুবাইর মজুমদার, বুরহান মজুমদার, ইজাজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা যথাক্রমে ডা এম শান্তি কুমার সিংহ, হিল্লোল ভট্টাচার্য, নির্মল কুমার দাস সহ অন্যান্যরা। কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাম্পালাল দাস, অঞ্জন কুমার চন্দ, ইউনিস আলি চৌধুরী প্রমুখ। ডাঃ এম শান্তি কুমার সিংহ বলেন, গত এক বছর ধরে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত রাজ্য থেকে গত বছর পাঁচ লক্ষ গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর জমা করা হয়েছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তখন অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে পরিস্কার বলে দেওয়া হয়েছিল যে কোন অবস্থায় স্মার্ট মিটার লাগিয়ে জনগণের অর্থ লুট করা চলবে না। তিনি বলেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির বিজুলী ভবন অভিযান ও ১৯ সেপ্টেম্বর শিলচরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সমাবেশ ও গণ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। উভয় কার্যসূচিতে যোগদান করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
হিল্লোল ভট্টাচার্য বলেন, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কোনো মতামত না নিয়ে কেন্দ্র সরকার ২০২১ সালে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে। যদিও বলা হয়েছিল প্রথমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কার্যালয়ে স্মার্ট মিটার লাগাতে হবে। কিন্তু আসাম সরকারের নির্দেশে এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ প্রাইভেট কোম্পানিকে দিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের ঘরে ঘরে প্রথমে লাগাতে শুরু করেছে। এই মিটারের ভয়াবহতা আজ রাজ্যে আতংকের সৃষ্টি করেছে। সারা রাজ্যের মানুষ জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে এই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। তিনি সবাইকে এই আন্দোলনে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।